সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দাবি, সামনেই বর্ষা মরশুম। জয়ন্তী নদীর হড়পাবান ও জয়ন্তী পাহাড়ের ধসে যেকোনও সময় ওই বনপথে চরম বিপত্তি নেমে আসতে পারে। তাছাড়া নির্বাচনের কাজের ব্যস্ততার জন্য ওই বনপথটি এবার সংস্কারও করা হয়নি। সবমিলিয়ে পথটি দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই পথে ইদানিং হাতির দলের উপদ্রবও বেড়ে গিয়েছে। ফলে পর্যটকদের জন্য এই পথ ঝুঁকি হয়ে উঠবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়েই ওই জঙ্গল সাফারি রুটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেড় বছর আগে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের নয় যুবক জয়ন্তীর ধসে আটকে গিয়েছিলেন। আটকে থাকা ওই যুবকদের দলটিকে উদ্ধারে হিমশিম অবস্থা হয়েছিল জেলা প্রশাসন ও পুলিসের। শেষ পর্যন্ত জয়ন্তীর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ওই যুবকদের উদ্ধার করা হয়। বক্সার এই সাফারি রুট বন্ধ করে দেওয়ার পিছনে বনদপ্তর দেড় বছর আগের ওই ভয়ঙ্কর বিপদের কথাও মাথায় রেখেছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, সংস্কারের অভাবে জয়ন্তী থেকে মহকাল যাওয়ার রাস্তাটি দুর্গম হয়ে উঠেছে। বর্ষার মরশুম হচ্ছে। কখন ধস ও হড়পাবান নেমে আসবে, তা কেউ বলতে পারে না। ওই রাস্তায় হাতিদের আনাগোনাও আজকাল বেড়ে গিয়েছে। ফলে পর্যটকদের কাছে এই রুট খুবই ঝুঁকির হয়ে যাবে। তাই জয়ন্তী-মহাকাল জঙ্গল সাফারি পথটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হল।
শিব চতুদর্শী তো বটেই, সারা বছর জয়ন্তী মহকালে শিবের মাথায় জল ঢালতে যান পুণ্যার্থীরা। দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও জল ঢালতে যান জয়ন্তী মহকালে। কিন্তু বনদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে এবার সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। বনদপ্তর অবশ্য এও জানিয়েছে, বন্যপ্রাণীদের প্রজননের কারণে জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে এমনিতেই তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকবে। জঙ্গল খোলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হলেও হতে পারে।
এদিকে, বনদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে চরম হতাশা নেমে এসেছে জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ঘটনায় স্থানীয় অর্থনীতি চরম ধাক্কা খাবে বলেই আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত শুভজ্যোতি বসু বলেন, বনদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। বনদপ্তরের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে এখানকার অর্থনীতিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা।