সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, সোমবার গভীর রাতে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। ২৪ ঘণ্টা আগে রবিবার রাতে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করে। পুলিস ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন থানা এলাকাতেই অভিযান চালাচ্ছে যাতে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর যাতে জেলার কোনও জায়গায় অশান্তি না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে চলছে বাড়তি নজরদারি ও ধরপাকড়।
কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ধারাবাহিক অভিযান চলছে। যারা গণ্ডগোল পাকাতে পারে তাদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে কিংবা পরে যাতে জেলায় কোনও অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে সব থানাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গত দু’মাসে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ মে দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্ট্রোলেরহাট থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ধারালো অস্ত্র, একটি লোহার রড উদ্ধার করেছিল। পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের জ্ঞিাসাবাদ করে সোমবার রাতে পুলিস আরও একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করে। অন্যদিকে, সোমবার গভীর রাতে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস তোর্সা নদীর পাড়ে সাঁঝেরপাড় ঘোড়ামারা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সেসময় দু’জনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুলিসের দাবি, ধৃতরা ডাকাতির করতে জড়ো হয়েছিল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে তা সামাল দিতে পুলিসকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ছোটখাট কিছু ঝুটঝামেলা ছাড়া জেলার কোনও জায়গাতেই বড় কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা হয়নি। ১৯ এপ্রিল ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও অশান্তির খবর নেই। এই পরিস্থিতিতে ৪ জুন গোটা দেশের সঙ্গে কোচবিহারেও ফল প্রকাশ হবে। যে দলই জিতুক না কেন রেজাল্টকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম আশান্তি না বাঁধে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুলিস।