অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অমিত দাঁ বলেন, সোমবার আমাদের ল্যাবরেটরিতে মাত্র ৫৬টি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রয়োজনীয় রিএজেন্টের সাময়িক অভাব হওয়াতেই পরীক্ষা কম হয়েছে। তবে কলকাতার নাইসেড থেকে ইতিমধ্যেই রিএজেন্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রিএজেন্ট আমাদের কাছে এসে পৌঁছে যাবে। তারপর আবার আগের মতই বিপুল সংখ্যায় আমরা সোয়াব পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা রাখছি।
উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল মালদহ মেডিক্যালে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েও ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা থমকে গিয়েছিল। তারপর একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য তৈরি করা বিশেষ ল্যাবরেটরিতে। এরপরে ফের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকে করোনা পরীক্ষা চালু হয়ে যায় মালদহ মেডিক্যালে। করোনা পরীক্ষার জন্য এই ল্যাবরেটরিটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ কর্তৃক স্বীকৃত।
দ্বিতীয় দফায় করোনা পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ক্রমশ বেড়েছে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। শুরুর দিকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হত বলে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরে তা ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে। ২০০ থেকে ৩০০ এবং তারপরে এক ধাক্কায় প্রায় ৭০০টি করে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সম্প্রতি মালদহ মেডিক্যালের বিশেষ পরীক্ষাগারে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুপার তথা উপাধ্যক্ষ অমিত দাঁ। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় সোমবার। বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরেই দ্রুত ফুরিয়ে আসে রিএজেন্ট।
উল্লেখ্য, মালদহে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপুল সংখ্যায় ফেরার পর থেকেই তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ শুরু হয়ে যায়। ফলে মেডিক্যাল কলেজেও এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায় সোয়াব পরীক্ষার সংখ্যা। এর পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার একমাত্র জায়গা মালদহ মেডিক্যাল। তাই সব মিলিয়ে এখানে টেস্টের সংখ্যা অনেকটাই বেশি এই মুহূর্তে।
এই পরিস্থিতিতে যেখানে প্রায় প্রতিদিন হাজার দেড়েক সোয়াব পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে সোমবার মাত্র ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে মেডিক্যাল সূত্রে। তিন জেলার নমুনা পরীক্ষার একমাত্র পরীক্ষাগার মালদহে থাকায় পরীক্ষার সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পরীক্ষার অপেক্ষায় পড়ে থাকা নমুনার সংখ্যাও। মাঝখানে এই ব্যাকলগ ২৫০০’র কাছাকাছি হলেও সোমবার অত্যন্ত কম পরীক্ষা হওয়ায় সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি। রিএজেন্ট এলেও কীভাবে পরিস্থিতি সামলানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে মালদহ মেডিক্যালের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন।