বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রামকুমার তামাং বলেন, বাসিন্দাদের দাবি মেনে ধরলা নদীতে সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেতুটি তৈরি করবে তিস্তা সেতু কর্তৃপক্ষের। আমরা তাদেরকে নিয়ে গিয়ে এলাকা দেখাব। তারপর তারা ডিপিআর বানাবে। এদিন সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে যাওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে সেখানে যাওয়া হবে।
মেখলিগঞ্জের বোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫২ পানিশালা গ্রামে সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের যাতায়াতের জন্য সেতু তৈরি করলে উপকৃত হবেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি ১৫২ পানিশালার লোকেরা। ২০১৫ সালে ছিটমহল চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ভারতীয় ছিটমহলের বেশকিছু বাসিন্দা এদেশে চলে আসেন। তাঁদের বসবাসের জন্য অস্থায়ী শিবির করা হয়েছিল দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়িতে। সাবেক ছিটের এই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য ইতিমধ্যেই স্থায়ী আবাসন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মেখলিগঞ্জ কৃষিফার্মের জমিতে অস্থায়ীভাবে বসাবাসকারি সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের জন্য ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫২ পানিশালা এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ওই ফ্ল্যাট। যদিও সাবেক ছিটের বাসিন্দারা প্রথম থেকে স্থায়ী আবাসনের জায়গা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো নয়। একইসঙ্গে চ্যাংরাবান্ধার মতো বাজারে যেতে হলে অনেকটাই ঘুরে যেতে হয়। তবে ধরলা নদীতে সেতু হলে সহজেই চ্যাংরাবান্ধায় যাওয়া যাবে। ধরলায় সেতু না হলে স্থায়ী আবাসনে তাঁরা যাবেন না, এই দাবি তাঁরা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান। তাঁর কাছেও ধরলা নদীর উপর সেতু তৈরির দাবি তাঁরা জানান। এর পরেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয় ধরলা নদীর উপর সেতু তৈরি করা হবে। প্রশাসনিক আধিকারিক ও তিস্তা সেতু নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের এদিন সেতুর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু ওই দলের প্রতিনিধিরা না আসায় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।