নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
শুক্রবার থেকে কুশমণ্ডি মহিষবাথান সমবায় সমিতির মাঠে উত্তরবঙ্গের হস্তশিল্পীদের নিয়ে শুরু হল হস্তশিল্প মেলা। সেখানেই উপস্থিত মুখোশশিল্পীরা জানালেন তাঁদের ব্যবসার বাড়বাড়ন্তের কথা। এদিন মুখোশ মেলার উদ্বোধন করেন কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস সহ জেলার বিশিষ্টজনেরা। তিনদিন ধরে মেলায় চলবে রাজ্যের লোক প্রসার শিল্পীদের নিয়ে লোকগান ও নাটক। মেলায় মোট কুড়িটি স্টল বসেছে। জেলার শিল্পীদের তৈরী মুখোশের কাজ, পাট দিয়ে সামগ্রী বানাবার ধোকড়া শিল্প, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, কোচবিহারের শীতলপাটি ও উত্তর দিনাজপুরের টেরাকোটার সামগ্রী নিয়ে দোকান দিয়েছেন শিল্পীরা।
কুশমণ্ডি মহিষবাথান সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ সরকার বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর আমাদের ব্যবসা দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিটি শিল্পী সমবায়ে বসে কাজ পাচ্ছেন। আমাদের তৈরী কাঠের মুখোশ রাজ্যের বিভিন্ন মেলায় যাচ্ছে। আমাদের কুশমণ্ডি মহিষবাথান সমবায় সমিতির নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। সেই ওয়েবসাইট দিয়ে আমরা অর্ডার পাচ্ছি। সেই মতো দেশ-বিদেশে কাঠের মুখোশ বিক্রি করছি আমরা। আমাদের তৈরি মুখোশ প্যারিস ও সুইজারল্যান্ডেও গিয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে আমরা গত কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মুখোশ মেলার আয়োজন করছি। উত্তরবঙ্গের হস্তশিল্পীদের এই মেলায় একটা প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়। শিল্পীদের শিল্পসত্তাকে উৎসাহী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমি সংসদ সদস্য থাকার সময় জেলার হস্তশিল্পীদের আমার সাধ্যমতো সাহায্য করেছি। আমি কুশমণ্ডির মহিষবাথান সমবায় সমিতির ঘরের জন্য আমার ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য করেছি। এছাড়াও আমাদের সরকার শিল্পীদের রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মেলা করে তাঁদের পরিচিতি বৃদ্ধি করেছে। আমার ইচ্ছা, কুশমণ্ডির হস্তশিল্পীদের জন্য জেলায় একটি স্টল খোলা হোক। তার জন্য আমি রাজ্য সরকারকেও জানিয়েছি। সবুজ সংকেত পেলেই জেলায় মুখোশশিল্পীদের জন্য একটি স্টল করে দেওয়া হবে।
কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস বলেন, গত তিন বছর ধরে এই মেলায় আসছি। জেলাবাসীর কাছে এটি মিলন মেলা হয়ে ওঠে। মহিষবাথান সমবায় সমিতির মুখোশের যে নাম হয়েছে তা আমাদের জেলার পক্ষে গৌরবের। আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে শিল্পীদের পাশে রয়েছি।
এদিন উদ্বোধনের পরপরই মেলায় উপচে পড়লো ভিড়। বিকেল চারটে থেকে খন পালাগান, ডোমনী লোকগান ও পুরুলিয়ার ছৌ নাচের পাশাপাশি জেলার লোকশিল্পীদের দিয়ে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। মেলায় মাটির তৈরি অলঙ্কারের স্টলগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও মুখোশ, বাঁশের তৈরি শো পিস ইত্যাদি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করেছে।