সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন উদ্ভাবন হওয়া এই রোবট মৌমাছিগুলির এক একটির ওজন মাত্র ৩৪ গ্রাম। উচ্চতা (২২ সেমি) এবং ডানার দৈর্ঘ্য এক ফুটের চেয়েও কম (২৪সেমি)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রোবট মৌমাছিগুলি উড়তে পারবে আসল মৌমাছির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে। যাকে বলা হয় ‘সোয়ার্ম’।
‘আই ফর নেচার’ ক্লাবের সদস্য এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি’র গবেষক অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, অসাধারণ ‘আবিষ্কার’। এই প্রতিটি রোবট মৌমাছি আসলে এক-একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ন্যানো কম্পিউটার। যতটুকু বুঝেছি, ‘প্রতিটা রোবট মৌমাছি আর একটির সঙ্গে যোগাযোগ এবং তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম। ড্রোনের সব কাজ করে ফেলতে পারবে আরও দক্ষতার সঙ্গে। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে পারায় যে কোনও জায়গা সম্পর্কে পাঠানো এদের তথ্যে আরও বেশি খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ থাকবে বলেই মনে হয়।’ প্রসঙ্গত, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ড্রোনেরও ওজন ২৫০ গ্রাম। রোবট মৌমাছির মাত্র ৩৪ গ্রাম। অর্থাৎ সাত ভাগের এক ভাগ।
কিন্তু ঝাঁকে ঝাঁকে উড়লে তো একটা রোবট মৌমাছির সঙ্গে আর একটির ধাক্কা লেগে যেতে পারে? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সেটি হবে না। প্রকৃতির যেসব পতঙ্গই ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়ে, প্রত্যেকেই কাজে লাগায় এক ধরনের ‘রিয়েল টাইম লোকেটিং সিস্টেমকে’। এছাড়া এদের আছে ‘লোবিউলা জায়েন্ট মুভমেন্ট ডিটেকটর’। তার মাধ্যমে এরা ওড়ার সময় মুহূর্তে মুহূর্তে জানতে পারে কোনও বস্তু এদের কতটা সামনে বা দূরে আছে। হঠাৎ করে কোনাকুনি কিছু তাদের দিকে এগিয়ে এল কি না, সেই খবরও এরা পেয়ে যায় এই ডিটেক্টরের মাধ্যমে। নকল মৌমাছিতে এইসব প্রযুক্তিও কাজে লাগানো হয়েছে।
বিজ্ঞানীমহল সূত্রে খবর, যাঁরা এই রোবট মৌমাছি বানিয়েছেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন পশু, প্রাণী এবং পতঙ্গের রোবট প্রতিরূপ বানিয়ে চলেছে। এর আগে রোবট পাখি, রোবট বাদুড়, রোবট ক্যাঙারু, রোবট প্রজাপতি বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। রোবট মৌমাছির ভিডিও প্রকাশ্যে আনার পর থেকে বিশ্বজুড়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।