সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
এই বিরল অভিজ্ঞতার পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার খুব শক্তিশালী সৌরঝড় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ে। অরোরা বোরিয়ালিসের জন্য দায়ী সূর্যের শক্তিশালী কনার গুচ্ছ বা ‘করোনাল মাস ইজেকশন’। এই শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় সৌরঝড়ের কারণে প্রভাবিত হয় পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জিপিএস পরিষবা। ২০০৩ সালে সৌরঝড়ের কারণে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল সুইডেন।
সূর্যের এই শক্তিশালী কণাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা বিভিন্ন গ্যাসের সংস্পর্শে এলেই অরোরার জন্ম হয়। সূর্যের এই কণাগুচ্ছের নির্গমনের হার বেশি থাকলেই আলোর আভা অনেকটা অঞ্চলজুড়ে দেখা যায়। উত্তর মেরু পেরিয়ে তা চলে আসে দক্ষিণে। ঠিক যেমনটা হয়েছে শুক্রবার। পৃথিবার দুই চৌম্বকীয় মেরুতে অরোরা সবথেকে ভালো দেখা যায়। উত্তর মেরুতে ৬০ এবং ৭৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে সাধারণত নর্দান লাইটসের সন্ধান মেলে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনেও বিভিন্ন জায়গায় অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যেতে পারে। কারণ সামনে আরও করোনাল মাস ইজেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটা হলে আরও বেশি স্পষ্ট হবে নর্দান লাইটস। এবিষয় এক্স হ্যান্ডলে মহাকাশ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ টামিথা স্কোভের পোস্ট, ‘এই সৌরঝড় হতাশ করেনি। এই ঝড়টি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এখানেই শেষ নয়। এতোটা শক্তিশালী না হলেও আগামী দিনে আরও সৌরঝড়ল পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে।’ অর্থাৎ, আরও বেশ কয়েকবার রাতের আকাশে রঙের খেলা দেখার সুযোগ মিলবে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, ফের ব্রিটেনের আকাশজুড়ে অরোরা বোরয়িালিস চাক্ষুস করা যাবে। যদিও বিভিন্ন জায়গায় আলোর খেলা হবে ভিন্নতর। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, পরের দিকের সৌরঝড়গুলিও বেশ শক্তিশালী হতে চলেছে।
রাতের আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বেশি অন্ধকার না হলে নর্দার্ন লাইটস দেখা সম্ভব নয়। সাধারণত রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ভোররাত পর্যন্ত সবথেকে বেশি অন্ধকার থাকে আকাশ।
নর্দান লাইটস দেখতে পয়সা খরচা করে নরওয়েতে ছুটে যান পর্যটকরা। শুক্রবার অবশ্য নিখরচায় এই মজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী থাকলেন ব্রিটেনবাসী।