কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
বুধবার যখন ভোটাভুটি চলছে তখন হোয়াইট হাউসে কার্যত একাই ছিলেন ট্রাম্প। চোখ ছিল টিভির পর্দায়। এদিনই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার নিন্দা করে ট্রাম্পের ভিডিও সামনে এসেছে। নম্র কণ্ঠে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘গত সপ্তাহে যে হিংসা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, দ্বিধাহীন ভাষাষ তার নিন্দা করছি। আমার কোনও প্রকৃত সমর্থক কখনওই হিংসায় জড়াতে পারে না।’
কবে এই ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে
হাউসে ভোটাভুটির সময়ও তাঁর উগ্র সমর্থকরা হামলা চালাতে পারে আঁচ করে সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশের পর আর ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য সামনে আসেনি।
নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হবু প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘সংবিধান এবং বিবেককে সামনে রেখে কংগ্রেস সদস্যরা ভোট দিয়েছেন। আশা করি সেনেটেও এই ধারা বজায় থাকবে। অন্যান্য জরুরি বিষয়ের সঙ্গে সেনেটেও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’ প্রথম থেকেই ট্রাম্পের অপসারণ নিয়ে সোচ্চার ছিলেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলসি। বুধবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করে তিনি লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টও যে আইনের ঊর্ধ্বে নন, আজকের ভোটাভুটিতে তা প্রমাণিত।’
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ট্রাম্পের এই পরাজয় মঙ্গলবারই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্পকে সরানোর প্রস্তাব ২২৩-২০৫ ভোটে পাশ হয়। তবে এবার ব্যবধান আরও বেড়েছে। এরপর? মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী এবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে পেশ করা হবে। সেখানে ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাশ হলে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। আর তা হলে পরবর্তী সময়ে আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ট্রাম্প।
১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনেটের অধিবেশন বন্ধ রয়েছে। ২০ তারিখে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তাই বাইডেনের শপথগ্রহণের আগে সেনেটে এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ কম। জানা গিয়েছে, ১৭টি রিপাবলিকান ভোট পেলেই সেনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ হয়ে যাবে। এখনই অবশ্য ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচেছ না। মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে থাকতে পারবেন। তবে নতুন সরকার গড়ার পরেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেনেটে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চালানো যাবে।