কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫০ জনের বেশি মানুষ। জখম হয়েছিলেন কমপক্ষে ২০০ জন। হতাহতদের মধ্যে ছিলেন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হেড কনস্টেবল রতন লাল। তাঁর হত্যার সঙ্গেই ইব্রাহিমের নাম জড়িয়েছে। সেই মামলায় মক্কেলের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ইব্রাহিমের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি ছিল, কোনও তলোয়ারের আঘাতে রতন লালের মৃত্যু হয়নি। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ইব্রাহিম। যদিও আদালত তাঁর যুক্তি খারিজ করে বলেছেন, অভিযুক্ত যে তলোয়ার বহন করছিল, তাতে বহু মানুষ গুরুতর জখম এবং প্রাণ হারাতে পারতেন।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগের এই হিংসায় সংখ্যায় কম পুলিস বাহিনীর উপর চড়াও হয়েছিল উন্মত্ত জনতা। সেখানে মাথায় আঘাত লেগে প্রাণ হারান রতন লাল। জখম হন আরও এক পুলিস আধিকারিক। কিন্তু, এই হিংসাকে কোনওমতেই আকস্মিক বলতে নারাজ আদালত। তারা জানিয়েছে, পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। যাতে সাধারণ জীবনযাত্রা এবং সরকারের কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে আগে থেকে সিসিটিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং সিসিটিভি ভেঙে ফেলার তত্ত্বকে খাড়া করেছেন বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর মতে, ‘শহরের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতেই পরিকল্পিত এই ষড়যন্ত্র।’ বিচারপতির কথায়, ‘বিষয়টি থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার যে অসংখ্য দাঙ্গাকারী লাঠি, ডান্ডা, (ক্রিকেটের) ব্যাট ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। চড়াও হয়েছিল সংখ্যায় কম থাকা পুলিস আধিকারিকদের উপর।’
অন্যদিকে, দিল্লির রোহিণী আদালতে শ্যুটআউটের পর রাজধানীর নিম্ন আদালতগুলির নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। সেইমতো হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতেই পুলিসকে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিতে বললেন বিতারপতি রেখা পল্লি। এই মর্মে তিনি দিল্লি পুলিস এবং দিল্লি বার কাউন্সিলকে নোটিস পাঠিয়েছেন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১১ অক্টোবর। প্রসঙ্গত, রোহিণী কোর্টের শ্যুটআউটের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। -ফাইল চিত্র