কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
আগামী বছর পাঞ্জাবে ভোট। কৃষক আন্দোলনের কারণে বিজেপি এই রাজ্যে চরম ব্যাকফুটে। রাজ্যে মোদি ও বিজেপি বিরোধী মনোভাব এতটাই তীব্র ছিল যে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিরোমণি আকালি দল পর্যন্ত নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করতে এনডিএ’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ধরেই নেওয়া হয়েছিল আগামী বছর পাঁচটি রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের অবস্থা সবথেকে নিরাপদ ক্যাপ্টেনের পাঞ্জাবে। সেই পাঞ্জাবেই অহেতুক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে সম্পূর্ণ সাংগঠনিক বিপর্যয় ডেকে এনেছেন রাহুল ও সোনিয়া। তাঁরা শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে সিধুকেই পাঞ্জাব ভোটের চালিকাশক্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়। অর্থাৎ কংগ্রেস হাইকমান্ড স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, আগামী নির্বাচনে দলের সেনাপতি হবেন সিধু। প্রত্যাশিতভাবেই অমরিন্দর সিং এতে ক্ষুব্ধ হন এবং সিধুর একের পর এক আক্রমণাত্মক বিবৃতির পর সোনিয়ার কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। বলেন, আমাকে যে ভাবে অসম্মান করা হচ্ছে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
পাতিয়ালার মহারাজার ইনিংস শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয় দলিত শিখ চরণজিৎ সিং চান্নিকে। কিন্তু সেই চান্নি যখন তাঁর মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিলেন আর এক জাঠ শিখ সুখজিন্দর সিং রণধাওয়াকে, তখনই সিধুর ক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়। কারণ, তাঁর রণধাওয়াকে নিয়ে আপত্তি। কিন্তু সেই আপত্তি এবার আর গ্রাহ্য হয়নি। তাই দলকে বিপদে ফেলে সিধু পদত্যাগ করলেন, যা রাহুল ও সোনিয়ার পক্ষে চরম অস্বস্তিকর বার্তা। কারণ, সিধুকে সামনে নিয়ে আসতেই এতকালের পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিংকে সরানো হয়। এখন সেই সিধুই সরে গেলেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই প্রথম কোনও একটি রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক বিপর্যয় ঘটছে বিজেপির কোনওরকম ইন্ধন ছাড়াই। যাকে বলা হচ্ছে, কংগ্রেসের রাজনৈতিক আত্মহত্যা! ভগৎ সিংয়ের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ ভগৎ সিং নগরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি।