কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শিক্ষক শিক্ষণে কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা হল, ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন’ (এনসিটিই)। তারাই কলেজগুলিকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তবে এ রাজ্যের কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য সেই দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দিয়েছে এনসিটিই। অন্যান্য রাজ্যেও একই ব্যবস্থা। ফলে পরিদর্শনের ক্ষমতা এবং অনুমোদন আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে পর্ষদের। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘আমি যখন তিন বছর আগে দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন দেখি বেসরকারি কলেজগুলির অনুমোদনের মেয়াদ আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। আগে হয়ত এ বিষয়ে কড়াকড়ি ছিল না। তবে এনসিটিই’র গাইডলাইন অনুযায়ী পরিকাঠামো থাকা তো দূর, আমাদের কাছে অভিযোগ আসত, স্কুল, বিএড কলেজ প্রভৃতির পরিকাঠামোতেই চলছে ডিএলএড কলেজ। এমনকী বহু কলেজের শিক্ষকরাও বেতন না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখতেন। তারপর এই পরিদর্শন শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ প্রসঙ্গত, টাকা দিয়ে আবেদনের সাতদিনের মধ্যেই পরিদর্শন হবে। ৩১ মে পর্যন্ত পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। ফলে কলেজগুলির উপরেও বাড়তি চাপ থাকছে।
কলেজগুলি পরিদর্শনের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পিয়ার কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারাই কলেজ ঘুরে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে। শুধুমাত্র ডিএলড কলেজ হলে সেটির বিল্ট আপ এরিয়া অর্থাৎ ভবন ও অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য অন্তত ১৫০০ বর্গমিটার জায়গা থাকতে হবে। জমি থাকতে হবে অন্তত ২৫০০ বর্গমিটার। এর সঙ্গে বিএড বা এমএড কলেজ চললে তার জন্য জমি এবং ভবনের পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়বে। এছাড়াও আবশ্যিক হল প্রতি ৫০ পড়ুয়ার জন্য একটি ক্লাসরুম, একটি ডায়াস সহ মাল্টিপারপাস হল রুম যাতে অন্তত ২০০ জন বসতে পারে। এর পরিমাপ হতে হবে অন্তত ২০০০ বর্গফুট। একটি লাইব্রেরি তথা রিসোর্স সেন্টার, কারিকুলাম ল্যাবরেটরি (বিজ্ঞান এবং গণিতের কিট, ম্যাপ, গ্লোব, গবেষণা সংক্রান্ত রাসায়নিক প্রভৃতি সহ) এবং একটি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি।
৫০ জন পড়ুয়া নিয়ে একটি ইউনিট তৈরি হয়। এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতি দু’ইউনিট পড়ুয়া ভর্তির জন্য একজন কলেজ অধ্যক্ষ সহ ১৬ জন শিক্ষক থাকা আবশ্যিক। এছাড়াও লাইব্রেরিয়ান, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, ক্লার্ক প্রভৃতি থাকা ন্যূনতম শর্ত। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বহু কলেজই আবশ্যিক শর্তগুলি পূরণ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ডিএলএডেও বিএড কলেজগুলির মতো জটিলতা সৃষ্টি হয় কি না, সেটাই দেখার।