কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপ এখনই চরমে। নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা চোখে পড়ছে। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানুষের প্রশ্ন একটাই—বাংলা কার হবে? ঠিক এই পরিস্থিতিতে গত ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৮ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। তাতেই উঠে এসেছে, এই মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপির পক্ষে তৃণমূলকে হারানো অসম্ভব। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় দুশোর বেশি আসনে পদ্ম ফোটার দাবি করেছেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে এদিনের জনমত সমীক্ষার রায়। রিপোর্ট বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৯৮ থেকে ১০৬টি আসন। তবে একটাই সান্ত্বনা, ৩৮ শতাংশ ভোট তাদের ঝুলিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সমীক্ষা মিললে বিজেপি হবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। অন্যদিকে, তৃণমূল পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ২১১টি আসনে জয়ী হয়েছিল মমতার দল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৬৪ কেন্দ্রে। এবারের সমীক্ষা বলছে, ১৫৪-১৬২টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। ২০১৬ সালে বিজেপি জিতেছিল ৩টি আসনে। লোকসভা ভোটের ফলে তারা পৌঁছে যায় ১২১-এ। কিন্তু এবার তা কমছে বলেই রায় জনমত সমীক্ষার।
সমীক্ষার ফল দেখে অবশ্য তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছেন, তৃণমূল ১৯০ আসনের বেশি পাবে। আর বিজেপি কোনওভাবেই ১০০ পার করতে পারবে না। যদিও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমরা এই ধরনের সমীক্ষায় বিশ্বাস করি না। ২০১৯ সালের সমীক্ষায় আমাদের ২-৪টি আসন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে আমরা ১৮টি আসন পেয়েছিলাম।’
এবারের নির্বাচনেও জোট বেঁধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। জনমত সমীক্ষা বলছে, তারা ২৬-৩৪টির বেশি আসন পাবে না। ঝুলিতে আসতে পারে মাত্র ১২ শতাংশ ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট পেয়েছিল ৭৭টি আসন। লোকসভা ভোটের ফলে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৯-এ। এই সমীক্ষার ফলকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সমীক্ষা যে মেলে না, বিহারের ফলে তা স্পষ্ট। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের সমীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা মানুষের কাছে নেই।
বাংলা ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন। জনমত সমীক্ষা বলছে, কেরলে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গড়ছে বামেরাই। যা সাধারণত সেখানে হয় না। সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ পেতে পারে ৮১-৮৯টি আসন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেতে পারে ৪৯-৫৭টি। আর বিজেপি মাত্র ২টি। অন্যদিকে ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় ৭৩-৮১টিই আসতে পারে এনডিএর ঘরে। তামিলনাড়ুতে ১৫৮-১৬৬টি আসনে এগিয়ে রাখা হয়েছে ডিএমকে-কংগ্রেস জোটকে। এআইএডিএমকে নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৬০-৬৮টি আসন। বাংলায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছেন মমতাই। বলছে জনমত।