অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
এদিন সকালে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তিনি নিজেই ভ্যাকসিনের স্বেচ্ছাসেবক হতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। যদিও নাইসেড কর্তৃপক্ষ তাঁর বয়স, কো-মরবিডিটির জন্য বুঝে পা ফেলতে চাইছে। ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর এবং এনআইভি পুনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন (কোভ্যাকসিন) নিতে চান রাজ্যের একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। এছাড়া বেশ কিছু কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অধ্যাপকরাই স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ট্রয়ালে অংশ নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যাটা সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫০ জন।
এদিন নাইসেড শীর্ষকর্ত্রী ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, ‘টিকা নিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেই তা চূড়ান্ত নয়। সবারই শারীরিক পরীক্ষা হবে। অনেকগুলি বিষয় দেখতে হয়। রক্তপরীক্ষা হবে। সেই সবে পাশ হলেই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নেওয়া যাবে। পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী সেইসব পরীক্ষা পার করেছেন। তারপরই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর দাবি, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব পার করে এসেছে এই ভ্যাকসিন। যথেষ্ট নিরাপদ। তাও আমরা অত্যন্ত সতর্ক হয়েই পা ফেলছি।
এদিন নাইসেড সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক বছর ধরে এই পরীক্ষা চললেও অন্তর্বতীকালীন রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ছয়-সাতমাস পরই। অর্থাৎ বিষয়টা পরিষ্কার, জুলাইয়ের আগে কোভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ট্রায়ালে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবককে ৫০০ জনের দু’টি গ্রুপে ভেঙে দেওয়া হবে। একটি দলে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা কোভ্যাকসিন পাবেন। অন্য দলের অংশগ্রহণকারীরা পাবেন না। সবটাই গোপন থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও স্বেচ্ছাসেবক চাইলে ট্রায়াল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এ বিষয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—এই তিন মাস ধরে চলবে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম নথিভুক্তিকরণ।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এদিন বিকেলে পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও কোনও অসুবিধা হয়নি। এর ফলাফল দ্রুত প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ করেছি। ইতিবাচক হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে এই টিকা জনসাধারণের জন্য নিয়ে আসা হয়, এটাই আবেদন। এই ভ্যাকসিন বেরলে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতা ও রাজ্যবাসীকে দেব। জানি, এই প্রচেষ্টা সফল হবেই। প্রত্যেক ভারতবাসী করোনামুক্ত হয়ে নতুন জীবনে ফিরবে। আমার যদি অসুবিধা হয় বা প্রাণহানিও হয়, তাতেও কিছু যায় আসে না। মানুযের ভালো হোক। সেটাই বড় কথা।’
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।