অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক স্কলারশিপের পাশাপাশি কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী বা মিড ডে মিলের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত সরকারি প্রকল্পগুলির রূপায়ণে তাঁরা প্রধান ভূমিকা নিয়ে থাকেন। এমনকী, লকডাউনের মধ্যে মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলির তদারকি করতে গিয়ে বহু প্রধান শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ছ’জন মারাও গিয়েছেন। তবু তাঁদের করোনা যোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজের চাপ গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে যোগ্যতার মাপকাঠিও। এখন এই পদে আবেদন করতে গেলে পাঁচ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। লিখিত পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হতে হয় তাঁদের। তবে, এই মুহূর্তে উচ্চ প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষকদের বাড়তি কোনও আর্থিক সুবিধে নেই, যা আগে অনেকটাই ছিল। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বাড়তি ৫০০ টাকা ভাতা পান। অর্থাৎ, এত কাজের চাপ নিয়েও আর্থিক সুবিধে বিশেষ নেই। পাশাপাশি তাঁরা অমর্যাদার অভিযোগও তুলছেন। সরকারের আইএএসএমএস পোর্টালে প্রধান শিক্ষকদের রাখা হয়েছে ক্লার্ক এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের সারণিতে। বহুবার প্রতিবাদ জানিয়েও পরিবর্তন করা হয়নি। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো প্রশাসনিক বদলির নামে তাঁদের শাস্তিমূলক বদলি করা হচ্ছে। আগের মতো অতিরিক্ত গ্রেড পে এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি দু’টি ইনক্রিমেন্ট চাইছেন তাঁরা।