বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, তারা কাউকে ডি লিট বা ডি এসসি দিতে পারে না। শুধু পিএইচডি এবং এমফিল প্রার্থীরাই সমাবর্তনের দিন ডিগ্রি পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে ৫০ জন পড়ুয়া এই ডিগ্রি পাবেন। বর্তমানে সমাবর্তন অনুষ্ঠান মানেই বিতর্ক। যা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে। যাদবপুরে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কলকাতার সমাবর্তনে অনুষ্ঠানস্থালে এলেও, পড়ুয়াদের একাংশের প্রবল বিক্ষোভে মূল অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই ফিরে যান ধনকার। সম্প্রতি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে তৈরি হয় নয়া বিতর্ক। অভিযোগ, রাজ্যপালকে কোনও আমন্ত্রণপত্রই পাঠাননি উপাচার্য। যা নিয়ে বেজায় চটেন ধনকার। তিনি উপাচার্যকে শোকজ পর্যন্ত করেছিলেন।
এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানাতেও দেখা যায় আচার্যকে। এসবের মধ্যেই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পরে শিক্ষামন্ত্রী আলাদা দিনে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই সব থেকেই ধরে নেওয়া হয়, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা হয়তো কমছে। দু’পক্ষের সম্পর্কের যে উন্নতি হচ্ছে, তা রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়াই বলে দিচ্ছে এমনই মত শিক্ষামহলের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া বিধি অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ সমাবর্তনের ব্যাপারটি উচ্চ শিক্ষাদপ্তরকে জানিয়েছিল। সেখান থেকেই রাজভবনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। উপাচার্য বাসব চৌধুরী বলেন, বিধি অনুযায়ী যা করার আমরা তাই করেছি।
যাদবপুর এবং কলকাতাতেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ধনকার। কিন্তু শেষমেশ মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অধ্যাপক-পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান নির্ধারিত সূচি মেনেই করা হবে। বারাসতেও যদি বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে? এ নিয়ে অবশ্য এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন কর্তারা। অধ্যাপকদের একটা অংশের মতে, কী হবে জানি না। তবে অনুষ্ঠান থামবে না। উল্লেখ্য, এই প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান তাদের ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে হবে।