কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ধৃত জেএমবি জঙ্গি আজহারকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে অসম পুলিস। জানা গিয়েছে, সে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। যাতে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে সুবিধা হয়। ধৃতের বক্তব্য, সীমান্ত এলাকায় পরিচয়পত্র তৈরির বড় একটি চক্র চলছে। যাতে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশ এবং এ রাজ্যের যুবকরা। সেখান থেকেই জেএমবি জঙ্গিরা তা জোগাড় করছে। এরজন্য মোটা টাকা দিচ্ছে তারা। এই নথি দিয়ে তারা পাসপোর্ট তৈরিরও চেষ্টা করছে বলে জানতে পারছেন অফিসাররা। আজহারের কাছ থেকে অনেকগুলি পরিচয়পত্র মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে ভুয়ো আধার কার্ডও। এগুলি জমা দিয়েই সে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিত। এমনকী জেএমবি’র আর এক মাথা কওসরকে সে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আজহার অসম পুলিসকে জানিয়েছে, কওসর বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরক তৈরির গবেষণাগার খুলেছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা চলত। সে সেখানে একাধিকবার গিয়েছে। কওসরের সঙ্গে মিলে সে একাধিক নতুন পদ্ধতিতে বিস্ফোরক তৈরি করেছে। বুদ্ধগয়ায় কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে, তা সে ও কওসর মিলে ঠিক করে। তবে কওসর ধরা পড়ার পর বাংলাদেশের শীর্ষনেতারা তাকে নির্দেশ দেয়, বেঙ্গালুরুতে কোনও গবেষণাগার রাখা যাবে না। রাজ্য বদলাতে হবে। এরপরই চেন্নাইতে সে আশ্রয় নেয়। সেখানে বিস্ফোরক তৈরি করতে শুরু করে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিত সংগঠনে নবাগত যুবকদের। তার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই বিস্ফোরক তৈরি করছে বিভিন্ন জেলায়। আজহারের দাবি, এই বিস্ফোরকের বেশিরভাগটাই বাংলাদেশে যাচ্ছে। সেখানে গ্রেনেডের চাহিদা রয়েছে। এই জাতীয় বিস্ফোরক নতুন পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে। আজহার যে এ রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় এসেছে, তার প্রমাণ অসম পুলিসের তদন্তকারী অফিসারদের হাতে এসেছে। তাকে জেরা করে জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ডেরার হদিশ খুঁজছেন তাঁরা।
এদিকে, খাগড়াগড়কাণ্ডের যোগ মেলার পর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিও (এনআইএ) আজহারের প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা অসম পুলিসের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন। খুব শীঘ্রই তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।