কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ২০১৮-’১৯ আর্থিক বর্ষে রাজ্য ৪০ লক্ষ মেট্রিনটন ধান চাষিদের কাছ থেকে কিনেছিল। ২০১৮-’১৯ আর্থিক বর্ষে ধানের দাম ছিল কুইন্টালপ্রতি ১৭৫০ টাকা। সেই সঙ্গে চাষিরা সিপিসিতে গিয়ে বিক্রি করলে উৎসাহ ভাতা হিসেবে ২০ টাকা বাড়তি পেতেন। অর্থাৎ চাষিরা সিপিসিতে ধান বিক্রি করে কুইন্টালপ্রতি ১৭৭০ টাকা পেয়েছেন। রাজ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৯১টি সিপিসি চিহ্নিন্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও কয়েকটি সিপিসি চিহ্নিত করবে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ৮টি সিপিসি রয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর থেকে রাজ্যজুড়ে সরকারি মূল্যে ধান কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সারা রাজ্যে ৪৮ লক্ষ কৃষকবন্ধুর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এবার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে এফসিআই। আগামী নভেম্বর মাস থেকে সরকারি মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ধানের দাম কুইন্টালপ্রতি ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সিপিসিতে গিয়ে ধান বিক্রি করলে উৎসাহ ভাতা কুইন্টালপ্রতি ২০ টাকা বাড়তি পাবেন চাষিরা। সার, শ্রমিক ও জল দিয়ে নিয়ম মেনে ধানচাষ করতে চাষির কুইন্টালপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হয়। সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করলে চাষিদের কুইন্টালে কমপক্ষে ৮০০ টাকা লাভ থাকবে। এবারও ‘ধান দিন, চেক নিন’ এই নিয়ম বহাল থাকবে। অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে হচ্ছিল না। তাই ধান বিক্রি করার পরই চাষিদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে। চেক দেওয়া হলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হবে।
ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা সমস্ত জেলায় এসে পৌঁছেছে। জেলাজুড়ে সিপিসিতে সরকারি মূল্যে ধান কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, জেলার আটটি সিপিসিতে ধান কেনার জন্য রেজিস্ট্রশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রশন করানোর জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।