কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ছাত্র সংগঠনের অন্দর মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করেই সাংগঠনিক রদবদল ও সমীক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরেই রাজ্যের একঝাঁক পুরসভার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর আগেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে যাবে। ফলে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলকে বিরোধীরা যাতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে তার দিকে নজর রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটঘাট বেঁধে নির্বাচনে নেমে রাজ্যব্যাপী সাফল্য পেতেও নেতৃত্ব তৎপর। যদিও সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, নেহাতই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। আমরা ইউনিট কমিটিগুলিতে প্রয়োজনীয় রদবদলের জন্যে বলেছি। একটি সমীক্ষাও করা হচ্ছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দর মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সাত পাতার একটি নির্দেশিকা সংগঠনের তরফে সমস্ত রাজ্যের জেলা সভাপতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মূলত দু’টি বিষয় রাখা হয়েছে। প্রথমত, কলেজগুলিতে ছাত্রদের ইউনিট গঠন এবং দ্বিতীয়ত একটি সমীক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় রাজ্য সভাপতির স্পষ্ট নির্দেশ, অতি দ্রুত সমস্ত কলেজে নতুন ইউনিট কমিটি গঠন করে ফেলতে হবে। যারা কলেজের ছাত্র তাদের নিয়েই ইউনিট কমিটি গঠন করতে হবে। বিদায়ী ছাত্র সংসদের নেতৃত্বদের মধ্যে কাউকে প্রয়োজনে কলেজের পরিদর্শক করা যেতে পারে। সমস্ত জেলা সভাপতিদের ‘বিশেষ ও গোপনীয়’ ওই নির্দেশিকা মোতাবেক দ্রুত কমিটি তৈরি করে তা রাজ্য সভাপতির ই-মেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। স্বভাবতই রাজনৈতিক মহল ছাত্র সংগঠনের এই তৎপরতাকে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক ধাপ হিসাবেই ধরে নিচ্ছে। বিষয়টি যে অমূলক নয়, ছাত্র সংঠনের অন্দর মহল থেকেও তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে।
বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের সমীক্ষার পরিকল্পনা থেকে। একটি ছাপানো প্রশ্নমালা পাঠিয়ে জেলা নেতৃত্বকে কলেজে কলেজে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সেখানে বিরোধী ছাত্র সংগঠন যেমন এসএফআই, ছাত্র পরিষদ, এবিভিপি এবং ডিএসও’র অবস্থান কেমন তা জানাতে বলা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ থেকে পরিচালন সমিতির সদস্যদের পরিচয় ও ফোন নম্বর পর্যন্ত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিশেষভাবে কলেজগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপকদের নাম ও ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে। এমনকী স্থানীয় স্তরে মূল দলের নেতৃত্বদের ভূমিকা পর্যন্ত ঘুরিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, সমীক্ষার তথ্য যেন নির্ভেজাল সত্য হয়। সংগঠনের এক দাপুটে নেতা বলেন, এই বিরাট প্রস্তুতি যে কেবলই সাংগঠনিক পরিস্থিতি যাচাই নয় তা বোঝা খুবই সহজ। আসলে আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি বলা যেতেই পারে।