কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সবচেয়ে চমক হল, এই আতসবাজি তৈরি হয়েছে চম্পাহাটি-হাড়ালের বাজি কারিগরদের হাতে। এ কথা জানালেন হাড়ালের এক বাজি ব্যবসায়ী সোমনাথ নস্কর। একটি সেলিব্রেশন প্যাকেটের দাম ২৯০ টাকা। তার চাহিদা এবার খুব। গত সাত বছর আগে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তর থেকে বাজি তৈরি থেকে প্যাকেজিং নিয়ে কয়েকমাস ধরে চলা বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন স্নাতক সোমনাথবাবু। সেখান থেকে শংসাপত্র পেয়েছেন তিনি। সেই প্রশিক্ষণে শেখানো পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এবার নতুন আলোর বাজি তৈরি করছেন সোমনাথ। তাঁর কারখানায় তৈরি হয়েছে অভিনব ‘আকাশ চরকি’। দশ ইঞ্চি লম্বা এই আকাশ চরকি ঘুরতে ঘুরতে ৪০ ফুট উঁচু শূন্যে উঠে যাবে। এরপর সেখানে গিয়ে চরকির মতো ঘুরতে থাকবে। সাত সেকেন্ড পর্যন্ত এই ঘোরার সময় নানা রঙের আলো ঝরে পড়বে। একটি প্যাকেটে পাঁচ পিস রয়েছে। তার দাম ১২০ টাকা। আট ইঞ্চির ঝকঝকে রঙিন কাগজের মোড়কে নতুন স্পেশাল তুবড়ির এবার চাহিদা খুব। তার নাম ক্র্যাকলিং বাহার। কালীপুজোর সময় ছাড়াও বিয়ে বাড়ি ও বাজি প্রতিযোগিতার কথা ভেবে এটা করা হয়েছে। এর বিশেষত হল, আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা উঁচু পর্যন্ত রামধনুর সাত রঙা আলোর ফোয়ারা হয়ে যাবে। পাশাপাশি আলোর ফুলকির সঙ্গে টিকটাক আওয়াজ শোনা যাবে। ৫৬ সেকেন্ড পর্যন্ত এটা স্থায়ী হবে। এর একটির দাম আড়াইশো টাকা। এর একটি ছোট সাইজ করা হয়েছে। ৪ ইঞ্চি সেই বাহারের দু’টির দাম ৬০ টাকা।
এবার প্রথম ঝকঝকে বড় প্যাকেটে অভিনব একটি রঙচঙে চরকি চম্পাহাটির বাজারে এসেছে। তাও হাড়ালের বাজি কারিগরদের হাতে তৈরি। নাম স্পিলার চরকি। তার মাঝে গোলাপির মোড়ক। এ যাবৎ চরকির নীচের দিকে বসিয়ে আগুন দিলে ঘুরত। সেইভাবে এতদিন তৈরি হয়েছে। স্পিলার চরকির বিশেষত হল উপর ও নীচে যে কোনও দিকে বসিয়ে আগুন ধরালে ঘুরবে। একটি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে ১০টি চরকি। দাম ১১০ টাকা। তিন ইঞ্চি আকারে লম্বা রঙিন মোড়কে বাজার ছেয়ে গিয়েছে জুয়েল পট নামের একটি নতুন তুবড়ি। দশ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী জুয়েল পট থেকে দুধের মতো সাদা আলোর ঝরনা দেখা যাবে। মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর অর্জুনের নামে বেশ কয়েকটি নতুন আতসবাজি তৈরি হয়েছে। তার একটির নাম ‘অর্জুন ফ্লাওয়ার পট’। তুবড়ির মতো আলোর ফোয়ারা সঙ্গে কাগজের টুকরো বেরবে। দাম ৪০ টাকা। অর্জুন ফাইট ইন ওয়ান। পাঁচ রঙের তারাবাতি। আলোর সঙ্গে সঙ্গে টিকটাক শব্দ শোনা যাবে। দাম ৮০ টাকা। হাড়ালের বাসিন্দা ও বাজি ব্যবসায়ী অমিত মণ্ডল বলেন, এসবই আমাদের এখানকার কারিগরদের তৈরি। যা শিবকাশীর বাজিকে এখন রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে।