উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, সরকারি নির্দেশিকা পেয়েছি। সেই অনুসারে কাজ চালিয়ে যাব। এদিনের বিজ্ঞপ্তির আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল– কমিশনের মেয়াদ সাত মাস পাঁচ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও প্রথা অনুসারে এ ধরনের কমিশনের মেয়াদ সাধারণত ছ’মাস কিংবা এক বছরের জন্য বাড়ান হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করেছিলেন। তারপর মোট পাঁচবার মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। প্রথমে ছ’মাস, তারপর দু’দফা করে এক বছর ও দু’দফায় ছ’মাস মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। শেষে এদিন ফের সাত মাস পাঁচদিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হল। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু হওয়ার পর সর্বশেষ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছিল ২০০৬ সালে। নিয়ম অনুসারে দশ বছর পর ফের বেতন বৃদ্ধির কথা। অর্থাৎ, ২০১৬ সাল থেকে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার কথা। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে ২৯ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। তিন বছর কেটে গেলেও প্রাপ্য বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় রীতিমতো হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। লোকসভা ভোটে পোস্টাল ব্যালটে যার প্রতিফলন ঘটেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। যেখানে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের ৩৯টিতেই সরকারি কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটের ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল।
এ প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কর্মীদের এহেন সীমাহীন বঞ্চনা বিগত বাম সরকারের আমলেও দেখা যায়নি। এর বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের প্রতিক্রিয়া, পোস্টাল ব্যালটে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভের আগুন থেকে সরকার কোনও শিক্ষা নেয়নি। তাই আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি শুরু করছেন বলেও জানান তিনি। কো-অর্ডিনেশন কমিটি সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা বলেন, এর প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার টিফিনের সময় সমস্ত সরকারি অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে সংগঠনের তরফে। তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা আরও দীর্ঘায়িত হল। যার প্রতিফলন সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে পড়বে।