উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তৃতীয় স্থান বাদে মেধা তালিকার বাকি সব স্থানেই সরকারি স্কুল থেকে পড়ুয়ারা জায়গা পেয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যুগ্ম প্রথম স্থানাধিকারীই সরকারি স্কুলের পড়ুয়া। একজন বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল এবং অপরজন জেনকিন্স স্কুলের রাজর্ষি বর্মন। সরকারি স্কুলের পড়ুয়া সবচেয়ে বেশি রয়েছেন দশম স্থানে। দশমে জায়গা করে নিয়েছেন সরকারি স্কুলের পাঁচ জন। তারপরই সপ্তম স্থান, রয়েছেন চারজন। শুধুমাত্র পঞ্চম স্থানে একজন মাত্র রয়েছেন। বাকি স্থানগুলিতে একাধিক পড়ুয়া আছেন। এছাড়া গত বছরের তুলনায় সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশের হারও সামান্য বেড়েছে। গতবার যেখানে ৯৭.০৬ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছিলেন, সেখানে এবার ৯৮.৪৯ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ৯.১১ শতাংশ পড়ুয়া ৯০-১০০ (‘ও’ বা আউটস্ট্যান্ডিং) নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন। গতবার তা ছিল ৫.৮৪ শতাংশ। ৮০-৮৯’র মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ২৩.৬৪ শতাংশ পড়ুয়া। এই সংখ্যাও গতবারের চেয়ে অন্তত তিন শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া শেষ তিন বছরে প্রথম দশে যথাক্রমে ৯ (২০১৬), ১৩ (২০১৭) এবং ৬ (২০১৮) জন এসেছিলেন। এবার সংখ্যাটা ২৫।
র্যা ঙ্ক পাওয়া স্কুলের পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি স্কুল রয়েছে, যারা অল্পের জন্য এই মেধা তালিকায় আসতে পারেনি। যেমন, হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের সোহম মুখোপাধ্যায় ৪৭৯ পেয়েছেন। আবার বারাসত পিসিএস গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের মহম্মদ ইসতাক ৪৭৫ পেয়েছেন। সরকারি স্কুলের এই ফল নিয়ে বেশ খুশি শিক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, নানা প্রতিকূলতার পরও সরকারি স্কুল ফলাফলের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বহু স্কুলেই প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক সহ নানা পদ খালি। তারপরও এমন চমকে দেওয়ার মতো ফল।