কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
এবারের নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে তেমন কোনও বড় অশান্তির খবর মেলেনি। স্বরূপনগর ও গয়েশপুর বিধানসভায় দু’-একটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও মোটের উপর নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। ভোটের পর বাগদার মালিদায় তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে সংঘর্ষে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে সব দলই। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী উভয়পক্ষ।
ভোটের দিন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। সেদিন সকাল থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দাপিয়ে ঘুরেছেন তিনি। গত বিধানসভা ভোটে বাগদা থেকে বিজেপি’র টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটের আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেও বাগদার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা এতটুকু কমেনি। সোমবার প্রায় সারাদিনই বাগদার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন তিনি। ঝড়-বৃষ্টিতে বাগদায় কয়েকটি বুথে জল জমে যায়। সেইসব কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি। ভোট পরবর্তী সময়ে বাড়িতে বসেই তিনি করছেন ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
বনগাঁ বা বাগদায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে সেভাবে দেখা না গেলেও ভোটের দিন স্বরূপনগর বা কল্যাণীর বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। বনগাঁ কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, আমরা গতবার ১ লক্ষ ১১ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। এবার জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ বিজেপি’র দখলে আসে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের ছ’টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় বিজেপি। সেই অঙ্কে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির পক্ষে অনেকটাই অনুকূল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও চায়ের ঠেকের আলোচনায় বিজেপিকে এগিয়ে রাখছে সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচিকে দেখে ভোট দিয়েছেন। আমাদের জয় নিশ্চিত। অন্যদিকে, দেবদাস মণ্ডল বলেন, গতবারের থেকেও বেশি ভোটে জয় হবে আমাদের। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।