কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের দক্ষিণ কাচদহ গ্রামে বসবাস করেন উত্তম দাস। বাড়িতে রয়েছে তাঁর স্ত্রী কণিকা দাস ও দুই নাবালক ছেলেমেয়ে। নিজের নামে থাকা জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন উত্তম। কিন্তু ওই জমির একাংশে তাঁর মায়ের একটি ঘর রয়েছে। ওই ঘরে এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন তাঁর মা। স্বাভাবিকভাবেই ভিটে হারানোর ভয়ে বৃদ্ধা ওই জমি বিক্রি করতে বাধা দেন। তাতেই ঘটে এই বিপত্তি। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মা ও ছেলের মধ্যে বিবাদ চলছিল। মায়ের আপত্তির কারণে একপ্রকার অভিমানী হয়ে ওঠেন উত্তম। মঙ্গলবার রাতে বিবাদ চরমে উঠলে মায়ের উপর রাগ করে পরিবারের সদস্যদের অজান্তেই খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন তিনি। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে চারজনই। দুই সন্তানের আর্তনাদে এলাকার মানুষ বেরিয়ে আসেন। তাঁরা তড়িঘড়ি চারজনকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দুই সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। তবে উত্তমের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী কণিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তমের দাদা গৌতম দাস বলেন, ভাইয়ের নামে একটি জায়গা রয়েছে। সেই জমির উপরেই মায়ের একটি ঘর আছে। কিন্তু উত্তম সপরিবারে অন্যত্র চলে যাবে বলে ওই জায়গা বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাতে করে মা উচ্ছেদ হয়ে যাবে। এ নিয়ে মা ও ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। কিন্তু তা থেকে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, তা কারও ধারণা ছিল না। মায়ের উপর অভিমান করেই সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে উত্তম, এটা কেউই মেনে নিতে পারছে না। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় এলাকার মানুষ।