কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সোমবার সকালে বাড়ির উঠোনে খেলছিল মাটিয়া থানার চাঁপাপুকুর এলাকার দেড় বছরের শিশু। খেলতে খেলতে সেলাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ববিন খেয়ে ফেলেছিল সে। বাবা দিনমজুর। মা সন্তানকে কোলে নিয়ে সটান চলে আসেন বসিরহাট জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে। পরিবারের সদস্যরা গোটা বিষয়টি খুলে বলেন চিকিৎসকদের। জরুরি ভিত্তিতে শিশুটির গলার এক্সরে করা হয়। সেখানে দেখা যায়, শিশুটির খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির সংযোগস্থলে আটকে রয়েছে লোহার ববিন। শিশুটি ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছে না। কান্না থামছে না তার। অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই ঝুঁকি নিয়েই তাকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক সর্বজিৎ সরকার। আধঘণ্টার মধ্যেই অপারেশনের মাধ্যমে সেই ববিন বের করে শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, এই জটিল অপারেশন এখানে করালে ঝুঁকি হতে পারে। কিন্তু, সরকারি হাসপাতাল সুস্থ করেই আমাদের ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন সে ভালো আছে।
ডাঃ সর্বজিৎ সরকার বলেন, শিশুটিকে বাঁচাতে আমাদের গোটা টিম ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সকলের মিলিত চেষ্টায় আমরা সফল। শিশুটির এমন অবস্থা হয়েছিল যে, কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। পথেই বড় কোনও বিপদ হতে পারত। যেহেতু বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার যথেষ্ট ভালো, তাই আমরা ঝুঁকি নিয়েই অপারেশন করেছি। এখন সে ভালোই রয়েছে। এ নিয়ে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সরকারের আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থার যে উন্নতি হয়েছে, এটা তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।