কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতির স্ত্রী বর্ধমানের জমিদার পরিবারের সদস্য। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আট বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। এই জমিতে চাষ করতেন স্থানীয় এক কৃষক। কিছুদিন আগে বিচারপতির স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন জমিটি বিক্রি করবেন। সেই খবর পৌঁছে যায় জমির দালাল টিঙ্কুর কাছে। বিচারপতির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। মহিলা টিঙ্কুর মাধ্যমে জমিটি বিক্রি করতে রাজি হয়ে যান। টিঙ্কু খোঁজ নিয়ে জানতে পারে জমিটি যিনি চাষ করেন তিনি এটি কিনতে আগ্রহী। অভিযুক্ত দালাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে জমিটি বিক্রির দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি জমিটি দখল করে রেখেছেন তাই মালিকরা সরাসরি কোনও কথা বলবেন না। জমিটি কেনার জন্য এরপর সাত লক্ষ টাকা বায়না দেন কৃষক। তা হাতেও পান বিচারপতির স্ত্রী। মে মাসের শুরুতে ওই দালাল ক্রেতাকে বলে, ৬ তারিখ বাকি টাকা নেবেন বিচারপতির স্ত্রী। সমস্ত লেনদেন হবে নগদে। সেইমতো ২৪ লক্ষ টাকা একটি ব্যাগে নিয়ে বিচারপতির স্ত্রীর কলকাতার বাড়ির সামনে হাজির হন অভিযোগকারী। মালিককে দেবেন বলে টাকার ব্যাগ হাতিয়ে নেয় টিঙ্কু। বিচারপতির স্ত্রীর কাছে যাচ্ছে বলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। প্রতারণার শিকায় হয়েছেন বুঝেই ক্রেতা অভিযোগ করেন হেস্টিংস থানায়। মোবাইলের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় টিঙ্কুকে। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন এই নগদ আনার ব্যাপারে বিচারপতির স্ত্রী কিছুই জানতেন না। গোটাটাই অভিযুক্তের পরিকল্পনা। চক্র গড়ে তারা এই কাজ করছে।