কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
এদিকে, সুপ্রতিমবাবু কয়েক ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে দেখেন তিনি টাকা তোলেননি, অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উধাও। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর। তড়িঘড়ি পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন। এরপরেই থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নির্দেশে তদন্তে নামে এসআই রনি সরকারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম। স্টেশন এলাকা থেকে পুলিস হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ওই প্রতারককে। জানা গিয়েছে, পুলিসের কাছে এমনই অভিযোগ আসছিল কয়েকদিন ধরে। পুলিস আগেভাগেই অভিযুক্তের ছবি নিয়ে আশপাশে থানাগুলিকে সতর্ক করার কাজ করছিল।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম জয়দেব রায় ওরফে বাবু। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩০০টি এটিএম কার্ড, তিনটি দামি ফোন। তদন্তকারী অফিসার বলেন, জয়দেবের বাড়ি আদতে বর্ধমানের দুর্গাপুরে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বিষ্ণুপুরের আমতলায় ভাড়া থাকে সে। বিকম পাশ জয়দেব এটিএম কার্ড হাতাতে সিদ্ধহস্ত। কী করে করত অপারেশন? ফাঁকা এটিএম কাউন্টার কোথায় আছে, তা রেকি করে জেনে নিত জয়দেব। তারপর বেছে বেছে প্রবীণ ব্যক্তিদের টার্গেট করত সে। তাঁদের কাছে নিজেকে পরিচয় দিত ব্যাঙ্কের কর্মী বলে। এরপর সাহায্য করার অছিলায় কাউন্টারের ভিতরে ঢুকে একেবারে প্রবীণ ব্যক্তির পিছনে দাঁড়িয়ে জেনে নিত পিন নম্বর। তারপর করমর্দনের অছিলায় কার্ড হাতিয়ে নিয়ে বলা হতো, কার্ডে গণ্ডগোল আছে। পুলিস জানিয়েছে, ফ্লিপকার্ট সংস্থার কর্মী জয়দেব ৫ বছর ধরে এই কারবার করে আসছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গত ৪ বছরে এভাবে সে ১০-১২ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। যদিও পুলিসের অনুমান, আরও বেশি টাকা সে প্রতারণা করেছে। সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকাতেও এই কাজে জড়িত জয়দেব। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, এই টাকা হাতিয়ে কী করত জয়দেব? তারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।