সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে খবর, শ্যামপুকুর এলাকারই এক তরুণী পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁকে আইসিডিএসের সুপারভাইজার পদে চাকরি দেওয়া হবে বলে তিন লক্ষ টাকা নেয় মীনাক্ষী বসাক নামে এক মহিলা। অভিযুক্ত ওই মহিলা পরে বলরাম বসাক বলে একজনকে নিয়ে এসেছিল। বলরাম নিজেকে আইসিডিএসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বলে পরিচয় দিয়ে জানায়, এই প্রকল্পের ভেন্ডার লাইসেন্স পাইয়ে দেবে। পরে শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আরও একজন আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে দেখা করে। সে জানায়, আইসিডিএসের মালপত্র সরবরাহ করার জন্য স্টকিস্ট লাইসেন্স পাইয়ে দেবে। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ওই মহিলা সহ আরও অনেকে টাকা জমা দেন অভিযুক্তদের কাছে। তার মোট পরিমাণ ছিল, সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এদিকে, অভিযোগের পর যে মোবাইল থেকে অভিযুক্তরা যোগাযোগ করত, তার সূত্র ধরে জানা যায় মীনাক্ষী ও বলরামের বাড়ি শ্যামপুকুর এলাকায়। শিবশঙ্করের বাড়ি বাগুইআটিতে। তারা তিনজনে মিলে একটি চক্র গড়ে তুলে লোক ঠকাচ্ছে। এরপরই তাদের ধরা হয়। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মীনাক্ষী বিভিন্ন মহিলাদের টোপ দিত। তাঁদের রাজি করানোর পর আসরে নামত তার স্বামী। নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। এলাকায় অনেকেই তাকে জানত আমলা বলে। বিভিন্ন জেলা থেকেও তারা টাকা তুলেছে।