সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার বসিরহাটের মেরুদণ্ডীতে বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচারে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালি ব্লকের একাধিক জায়গা থেকে দলে দলে মহিলা এসে জনসভায় যোগ দেন। কণিকা দাস নামে সন্দেশখালির এক বাসিন্দা বলেন, ‘বিজেপি বাইরে থেকে লোক আনছে। টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছে। অশান্তি পাকিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এসেছি ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে।’ তবে বিজেপি নেতা পলাশ সরকার পাল্টা বলেন, ‘তৃণমূল ভয় দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় সন্দেশখালির মহিলাদের এনেছে। বসিরহাট লোকসভার প্রতিটি মানুষ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে আছে।’
এদিন অশোকনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার আকাশে দেখা দিতেই মহিলাদের উন্মাদনা চরমে ওঠে। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। উলুধ্বনি আর শাঁখ বাজিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বৃদ্ধির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। কেউ কেউ আনন্দে নেচেও ওঠেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সভার দায়িত্ব ছিল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর কাঁধে। দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও। এদিন সভার ভিড়ের সিংহভাগ এসেছিল অশোকনগর থেকে। আর ছিলেন হাবড়ার কর্মী-সমর্থকরা। এদিন জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি দেখে খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো। সভাস্থলের সামনের দিকে বসেছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের কেউ কাঁসর, কেউ ডঙ্কা বাজিয়ে স্বাগত জানান নেত্রীকে। ‘চাই না সিএএ’ বলে সরব হন। পিয়ালী দাস নামে অশোকনগর শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বাড়তি টাকা পাচ্ছি। কিন্তু বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। সন্দেশখালি নিয়ে ওরা যাই বলুক মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। তার প্রমাণ মিলবে চার তারিখ।’