সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এবারের ভোট এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। প্রাণহানি, রক্ত ক্ষয় হয়নি। চা খেতে খেতে অপর একজন বলে উঠলেন, এটা নিঃশব্দ বিপ্লব নয় তো! কেন্দ্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। স্বপনবাবু সেই সময় বলে উঠলেন, ‘ঠিক কথা বলেছেন। ২০১১ সালে আমরা যখন অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গড়ব ভেবেছিলাম তখন জনসভায় ভিড় দেখে সকলকেই আমাদের ভোটার ভাবতাম। সেই সময় পরিবর্তনের হাওয়া যে ঝড়ের গতিতে দাপুটে নেতাদের হারিয়ে দেবে তা ভাবতেও পারিনি।’
শুধু চায়ের দোকান নয় সেলুন বা বাসস্ট্যান্ডে আলোচনা চলছে হুগলির তিনটি লোকসভার মধ্যে সবক’টি অথবা দু’টি নিশ্চিত তৃণমূল জয় লাভ করবে। অনেকের মতে হুগলি লোকসভায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেটের থেকে এগিয়ে থাকবে বলে মনে হয়। গত লোকসভা ভোটে লকেট চট্টোপাধ্যায় জয়ের পরে সেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেননি। রাজনীতিতে নবীন হলেও শিল্পী হিসাবে লকেটের থেকে রচনার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আবার ফলাফল লকেটের পক্ষেও যেতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। অন্যদিকে, শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দেবেন সিপিএমের দীপ্সিতা ধর। এই লোকসভায় বিজেপি সেভাবে লড়াইয়ের ময়দানে জায়গা করে নিতে পারবে না। আলোচনা যখন গভীরে ঠিক তখনই বাস এসে গেল রতনবাবুর। আলোচনা ছেড়ে যাওয়ার সময় বললেন, আরামবাগ লোকসভা কিন্তু চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে থাকলেও হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। ভোটের আগে তৃণমূলের জেতা যতটা অসম্ভব মনে হয়েছিল সেই সম্ভাবনা কিন্তু অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই এবারের হুগলির লোকসভা ভোটের ফলাফলের দিকে সকলের নজর থাকবে। ভোটের পরের দিন এমনই আলোচনা চলল দিনভর। জয় পরাজয় ছাড়াও ভোটে গরম, বৃষ্টি, ভোটের খাওয়াদাওয়া নিয়েও চলল কাটাছেঁড়া।