নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
১৯৫৭ সালে প্রায় ছয় বিঘা জমির উপর তৈরি হয় গোবরডাঙা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পরে এর পরিসর বৃদ্ধি পায়। পরিকাঠামোর উন্নতির পর এটি হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। ২০০১ সালে হাসপাতালটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধীনে আসে। তখন জেলা পরিষদে ছিল বামেরা। সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে ঠিকই, কিন্তু নেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। ২০১১ সালে এ রাজ্যে পালাবদল হলেও ভোলবদল হয়নি গোবরডাঙা হাসপাতালের। হাসপাতাল কার্যত জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে গোবরডাঙা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে রয়েছে। করোনা কালে রাজ্য সরকার গোবরডাঙা হাসপাতালকে ৫০ বেডের কোভিড হাসপাতাল করেছিল। করোনার পরও আউটডোর চালু ছিল। কিন্তু হাসপাতালের একজন চিকিৎসক অবসর নেওয়ার পর আউটডোর পরিষেবাও বন্ধ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে হাসপাতালটি চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। এ সংক্রান্ত সমস্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। এমন পরিস্থিতিতে কল্যাণীতে ভোট প্রচারে গিয়ে এই হাসপাতাল চালুর কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণা, গোবরডাঙা কোভিড হাসপাতাল হয়েছিল। এখন বন্ধ আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুরসভাকে দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এটা চালু করব। এটা করব মানুষের সুবিধার জন্য।
এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালটিকে ৩০ বেডের করে চালু করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ১ জুলাই চিকিৎসক দিবসের দিন এটি চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্যারান্টি মানে বাংলার মানুষ জানে সত্যি। আর গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলে, শুনে খুব আনন্দ হচ্ছে। হাসপাতালটি চালু হলে অনেক মানুষের সুবিধা হবে।