বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
এদিকে সদ্য চলে যাওয়া ঋষভের জন্য রবিবারও মন খারাপ হয়ে আছে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের, তার বাবার বন্ধুদের। বিশেষত যারা ঋষভের জন্য টানা রাত জাগতেন পিজিতে। এমনই একজন হলেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা এবং ঋষভের বাবা পাপ্পু সিং-এর ঘনিষ্ঠ সমীরণ ঘোষ। এক শুক্রবার থেকে আর এক শনিবার— টানা আট রাতে পিজিকেই ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন সমীরণবাবু। শুধু তিনিই নন, শান্তনু, বাবলু, প্রবীর, ধর্মেন্দ্র সহ একশোজনের বেশি এলাকাবাসী রোজ রাতে যে কোনও দরকারে পিজিতে থাকতেন। তার সঙ্গে ঋষভের খুনসুটির সম্পর্কের কথা জানাতে গিয়ে বললেন, রোজ সকালে আমি ওর বাড়ি যেতাম। ও বেরিয়ে এসেই ‘ঢিসুম’, ‘ঢিসুম’ দেখিয়ে, একপ্রস্থ চোখ রাঙিয়ে আবার হেসে দৌড়ে ভিতরে ঢুকে যেত। এতটাই মিশুকে ছিল ঋষভ। ভুলতে পারছি না, কীভাবে এই আট রাত প্রতি মুহূর্ত উদ্বেগে কেটেছে। হাসপাতাল থেকে প্লেটলেট, প্লাজমা যাই চাইত, ব্লাড ব্যাঙ্কে রিক্যুইজিশন স্লিপ নিয়ে ছুটে যাওয়ার জন্য আমরা ছিলাম সদাপ্রস্তুত। যার জন্য করতাম, সেই সোনার টুকরো ছেলেটাই আর নেই। আক্ষেপ সমীরণবাবুর।