ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
কথা হচ্ছিল কুমোরটুলি স্ট্রিট, বনমালি সরকার স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতিমা শিল্পী এবং শোলা ও জরির অলঙ্কার শিল্পীদের সঙ্গে। প্রবীণ শোলা শিল্পী শম্ভুনাথ মালাকার বলেন, একটা সময় সুন্দরবন, জয়নগর, নবদ্বীপ, উত্তর দিনাজপুর, মেদিনীপুর থেকে চাষিরা শোলা নিয়ে আসতেন কুমোরটুলিতে। কিন্তু এখন ওই চাষিরা কালেভদ্রে এখানে আসেন। তার উপর তাঁরা যে দাম হাঁকছেন, তাতে আমাদের পক্ষে সবসময় কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর কথায়, কয়েক বছর আগেও বিয়ে বাড়িতে নহবতখানা সাজানো হতো শোলা দিয়ে। এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিয়ের মরশুমে আমাদের হাতগুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। সংসার চালানোই এখন দায়।
বনমালি সরকার স্ট্রিটে গিয়ে দেখা গেল, শিল্পী মায়া পাল, শম্পা বর্মনরা একমনে সরস্বতী প্রতিমা সাজাচ্ছেন জরির অলঙ্কার দিয়ে। তাঁরা বললেন, সাধারণ মানুষের সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই। শোলার কারুকাজ করা প্রতিমা কেনার লোক কোথায়? ফলে জরির গয়নায় সাজানো প্রতিমা কিনেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন ক্রেতারা। কথা বলতেই বলতেই শম্পাদেবী বিক্রি করলেন দু’টি মাঝারি সাইজের সরস্বতী প্রতিমা। জরির অলঙ্কার ব্যবসায়ী শৈশব মণ্ডল বলেন, এখন শোলার থেকে জরির অলঙ্কারের চাহিদা বেশি। কিন্তু যাঁরা শোলার অলঙ্কার চান, তাঁরা বেশি দাম দিয়ে তা কিনে নিয়ে যান। তাঁর দোকানে দেখা গেল, সেখানে দু’রকমের অলঙ্কারই বিক্রি হচ্ছে। ছেলেকে নিয়েই কুমোরটুলিতে জরির অলঙ্কারের দোকান চালান ৫৫ বছর বয়সি শুভ্রা দে। বললেন, আমাদের দোকান থেকে পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান ছোট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শিল্পীরা। শহরের বাইরে থেকে এসেও অনেকে জরির অলঙ্কার কিনে নিয়ে যান। শিল্পী সজল পাল, তপন পালদের কথায়, যখন যেটা চলবে, সেদিকেই আমাদের ঝুঁকতে হয়। নাহলে ভাত জুটবে না।