শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থাপত্র নিয়ে হাজির হন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বৃহস্পতিবার থেকে পুরসভার গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন ভাটপাড়া মিউনিসিপাল পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবারও তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল। এদিন পুরসভায় ঢুকতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল। দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় জোর করেই তৃণমূলের কাউন্সিলাররা পুরসভার ভিতরে প্রবেশ করেন। প্রথমে রিসিভ সেকশনে চিঠি জমা দেওয়া হয়। পরে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি জমা দিতে যায় তৃণমূল। কিন্তু, তিনি চিঠি নেননি। তিনি জানিয়ে দেন, রিভিস সেকশনের চিঠিই তাঁর কাছে আসবে। পরে তৃণমূল কাউন্সিলাররা বারাকপুরে গিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থার চিঠি জমা দেন।
সূত্রের খবর, অনাস্থাপত্র জমা দেওয়ার একদিন আগে পেনশনভোগীদের গেট আটকে অবস্থানে বসার ইন্ধন দিয়েছে বিজেপিই। যাতে তৃণমূল কাউইন্সলাররা পুরসভায় না ঢুকতে পারেন। ঘটনাচক্রে এদিন প্রথমে তৃণমূল কাউন্সিলাররা পেনশনভোগীদের বাধার মুখে পড়েন। আন্দোলনরত অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীদের পক্ষে পরেশ পাল বলেন, ১৫০ জন পেনশনভোগী রয়েছি। গত দুই মাস ধরে আমরা পেনশন পাচ্ছি না। পাঁচ বছর ধরে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়নি। যদিও এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে তৃণমূলও। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার মহম্মদ নাসিরুদ্দিন খান বলেন, ওনাদের দাবি ন্যায্য। আমরা পুরবোর্ডে এলে সাত দিনের মধ্যে ওদের বকেয়া পেনশন দেব।
অনাস্থাপত্রে সই রয়েছে ১৮ জন কাউন্সিলারের। তবে এদিন পুরসভায় এসেছিলেন ১১ জন কাউন্সিলার। সাত কাউন্সিলার আসেননি। তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্ত বলেন, সব কাউন্সিলারকে আমরা ডাকিনি। তবে ১৮ জনের সই রয়েছে। অনাস্থার ভোটাভুটির দিন সকলেই উপস্থিত থাকবেন। এবং আমাদের পক্ষেই ভোট দেবন। অপরপক্ষে বিজেপির চেয়ারম্যান সৌরভ সিং বলেন, অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছে। ২৩ দিন সময় রয়েছে। আমরা তার মধ্যেই ভোটাভুটিতে যাব। আমরা ৬ জন কাউন্সিলারকে তৃণমূলে পাঠিয়েছি। অনাস্থার ভোটাভুটির দিন আমার পক্ষেই ভোট দেবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ভাটপাড়া পুরসভায় ৩১ জন কাউন্সিলারের মধ্যে এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষে ১৮ জন। বিজেপির পক্ষে ১৩ জন কাউন্সিলার। সৌরভ সিংয়ের দাবি অনুযায়ী ৬ জন কাউন্সিলার বিজেপির পক্ষে ভোট দিলে ১৯ জন হবে। সেক্ষেত্রে বোর্ড উল্টাবে না। আর ৬ জন বিজেপিকে ভোট না দিলে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হবে। অর্থাৎ তৃণমূল ভাটপাড়া পুনরুদ্ধার করবে। অর্জুন সিংয়ের গড়ে শেষ পর্যন্ত কী খেলা চলে, সেই দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।