সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক কুশধ্বজ বাগ বলেন, গোলাপ গাছের পাতায় কালো কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। গাছের বেশ কিছুটা অংশ কালো হয়ে গিয়ে ফেটে যাচ্ছে। আর ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। চাষিরা সব ধরনের ওষুধ দেওয়ার পরও রোগ প্রতিরোধ করতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে ছত্রাকের জেরে এরকম অবস্থা হতে পারে। বিষয়টি রাজ্য দপ্তরে জানানো হয়েছে। এই জেলায় খড়্গপুর-১ ও ২, ডেবরা, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা এবং দাসপুর-১ ও ২ ব্লকে ফুলের চাষ হয়। তারমধ্যে খড়্গপুর-২ ব্লকে বেশি পরিমাণে গোলাপ ফুলের চাষ হয়। এছাড়াও ডেবরা, নারায়ণগড়, দাসপুর-১ ও ২ ব্লকেও এই ফুলের চাষ কিছুটা হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিঘার পর বিঘা গোলাপ বাগানে এই অজানা রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে। খড়্গপুর-২ ব্লকের জকপুরের চাষি প্রণবীর মাইতির বিঘার পর বিঘা গোলাপ চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রণবীরবাবু বলেন, সাড়ে পাঁচ একর জমিতে গোলাপ চারা লাগিয়েছি। আমরা মূলত গোলাপের চারা বিক্রি করি। মাসখানেক ধরে এই রোগ শুরু হয়েছিল। এই এলাকায় প্রথম আমার বাগানেই এই রোগ দেখা দেয়। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার কোনও ভুলের কারণেই গাছে এরকম রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় অধিকাংশ গোলাপ বাগানে এই অজানা রোগ দেখা দিয়েছে। গাছ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার টাকার ওষুধ স্প্রে করেছি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কী করব বুঝতে পারছি না। খড়্গপুর-২ ব্লকের চক গণেশ গ্রামের ফুল ব্যবসায়ী প্রশেষ মান্না বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে গোলাপ বাগান রয়েছে। বাগানের ফুল কোলাঘাট বাজারে বিক্রি করি। এছাড়া ১৫ কাঠা জমিতে আমার গোলাপ চারা লাগানো রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার জমিতে গোলাপ গাছে অজানা রোগের প্রকোপ শুরু হয়। প্রায় ৮০০০ টাকার ওষুধ স্প্রে করেছি। কোনও লাভ হয়নি। গাছ ঝলসে যাচ্ছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, খড়্গপুর-২ ব্লকে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ডেবরা, নারায়ণগড় যেখানে গোলাপ চাষ হয়েছে, সেখানে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমি নিজে খড়্গপুর-২ ব্লকের জকপুর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপ বাগান পরিদর্শন করেছি। বিঘার পর বিঘার গোলাপ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাষিরা নানা ধরনের ওষুধ দিয়েও গাছ বাঁচাতে পারছেন না। কী রোগ তা চাষিরা বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞকে জানানো হয়েছে। তিনি খুব শীঘ্রই এই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপ বাগান পরিদর্শনে আসবেন।