কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
পশ্চিম বাগদাও কিসমতপুরের চাষি নিমাই দাস, অরুণ দাস, দীপা দাসরা ক্ষোভের সুরে বলেন, নিজের জমিতে আমন ধান চাষ করছিলাম। জলের অভাবে আমাদের চারা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুঁটিগছ ও পশ্চিম বাগদাও কিসমতের চাষি প্রফিজুল হক, নরুল ইসলাম, মহম্মদ খসিরুল, হাসিমুল, রফিক আলি, হায়দর আলি ও আশিরুল ইসলাম বলেন, ব্লক কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে চাষ করছি। আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে দু’ধরনের বীজ দপ্তর বিলি করেছে। দ্বিতীয় দফায় আগস্ট মাসে ধান রোপণ করেছি। ধান লাগানোর সময়টা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। বিকল্প চাষ হিসেবে সব্জি কিংবা অন্য ধরনের চাষের ব্যবস্থা করলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হতাম।
খড়িবাড়ি-ফাঁসিদেওয়া ব্লক কৃষি আধিকারিক লোকনাথ শর্মা বলেন, যতটা ক্ষতির কথা চাষিরা বলছে তা ঠিক নয়। জুলাই মাসে ব্লকে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান রোপণ করেছিল। এই সময়ে জমিতে চাষিরা ঠিকমতো জল না দেওয়ায় চারা নষ্ট হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় এটা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা গিয়েছিলাম। চাষিদের নতুন করে বীজ দিয়েছি। ফাঁসিদেওয়াতে ৮০ কুইন্টাল বীজ বিলি করা হয়েছে। ৬২২ জন কৃষককে বীজ দেওয়া হয়েছে। চাষিদের দু’ধরনের বীজ দেওয়া হয়েছে। চাষিরা জমিতে তা লাগিয়েও দিয়েছে। আমাদের নজরদারিতে চারা বেড়ে উঠছে। আমাদের কাছে এমন কোনও খবর এখনও আসেনি যে চাষিরা আর্থিক সমস্যায় বীজ লাগাতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের শস্য বিমা যোজনা থাকলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাঁরা দপ্তরে বিমা করাতে পারবেন। তা না হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। স্বল্প সময়ের বিকল্প চাষের ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশ এলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।