বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে গো-চাষিদের সহায়ক মূল্য হল লিটার প্রতি ২৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেখানে ভিন রাজ্যের দুধ উৎপাদনকারী সংস্থা দিচ্ছে প্রায় ৩২ টাকা। ফলে রাজ্যের গো-চাষিদের একটি বড় অংশ দুধ বিক্রি করছে ভিন রাজ্যের সংস্থাকে। ১০ হাজার গো-চাষি রয়েছেন রাজ্যে। ১৯৭৮ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ‘মাদার ডেয়ারি ক্যালকাটা’ নামে এই সংস্থা দুধ উৎপাদন ও বিপণন শুরু করে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই সংস্থা পরিচালনা করে ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। ১৯৯৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদার ডেয়ারির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এরপর মাদার ডেয়ারির ডানকুনি প্ল্যান্টে উৎপাদিত দুধের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় দৈনিক ৬ লক্ষ লিটার। শুধু দুধ নয়, আইসক্রিম, দই, ঘোলও তৈরি করতে থাকে মাদার ডেয়ারি। যার চাহিদাও ভালো ছিল।
কিন্তু বর্তমানে গো-চাষিদের কাছ থেকে দুধের অভাবের জন্য তা কমে দড়িয়েছে ন্যূনতম দেড় লক্ষ লিটারে। কিন্তু গো-চাষিদের দুধের জোগান কমে যাওয়ায় মাদার ডেয়ারি উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে। শহর ও শহরতলিতে এই সংস্থার দুধের আকাল দেখা দিয়েছে। বাজারে দুধ না থাকায় অন্য দুধ জায়গা করে নিচ্ছে। অন্য দুধের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায় মাদার ডেয়ারির দুধ। সস্তায় ভালো দুধ হিসেবে সুনাম থাকার জন্য মাদার ডেয়ারির চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ২০৫টি দুধের ডিপো রয়েছে। ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন ৫০ জন। হরিণঘাটার সঙ্গে ৫০টি আউটলেট রয়েছে। মাদার ডেয়ারির বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৫০তে। আগে এই সংখ্যা ছিল ৯৩৩। অবিলম্বে দুধের জোগান না বাড়লে সমস্যায় পড়বে মাদার ডেয়ারি। প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্মীরা। তাঁরা ইতিমধ্যে আন্দোলনও শুরু করেছেন। মাদার ডেয়ারি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন আগামী ৩ মার্চ মাদার ডেয়ারির গেটে কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ইউনিয়নের নেতা প্রদীপ মিত্র বলেন, আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলেই আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি।
তৃণমূল কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা লক্ষ্মীকান্ত ঘোষ বলেন, কাঁচামালের দাম বেড়ে গিয়েছে। অথচ দুধের দাম বাড়েনি। প্রতি লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা ক্ষতি করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর থেকে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সমাধানের পথ বের করবে বলে আমরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা সমস্যাটা জানি। গো-চাষিরা বেশি দাম পাচ্ছেন বলে অন্য সংস্থার কাছে দুধ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা করেছি। তা এখন নবান্নের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। গুঁড়ো দুধের দামও বেড়েছে। মানুষের কাছে বিক্রির দাম না বাড়িয়ে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলার ডেয়ারিও করা হবে।