বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
চীন এবং আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্বই উদ্বিগ্ন বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই দুই দেশের টানাপোড়েনে। ব্যবসায় ক্ষতির ক্ষেত্রে ভারতও তার বাইরে নয়। যেহেতু ভারতীয় অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে, তাই মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবসা তার বাইরে আসবে না, এমনটাই মনে করেন মহালিঙ্গম। তিনি এর জন্য মূলত নগদ জোগানের সমস্যাকেই সামনে এনেছেন। বলেন, আমেরিকায় নগদ জোগান কমানো হচ্ছে। সেখানে ফি বছরে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে সেদেশের সরকার। এর প্রভাব গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ছে। মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবসাতেও তার প্রভাব পড়বে। তাই এই ব্যবসার ভবিষ্যৎও খুব সুখের নয়, মন্তব্য করেন মহালিঙ্গম।
নগদ জোগানের পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার বাড়াতে ঝুঁকিও একটা বড় ইস্যু, মনে করেন সেবি কর্তা। তিনি বলেন, বেশি ঝুঁকির পরিস্থিতি আটকাতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তাঁরা আরও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন সামনে আনতে চলেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবসাকে প্রসারিত করতে সংস্থাগুলির আরও বেশি দক্ষ ব্যবস্থাপনার দরকার। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবসার সাফল্য ধরে রাখা যাবে না। এখন মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবসার বৃদ্ধির হার বছরে ২১ থেকে ২২ শতাংশ। কিন্তু সব সময় এই সাফল্য থাকবে, এটা আশা করা যায় না। এই বৃদ্ধির হার কমতে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আর্থিক নিরাপত্তার দিক থেকে ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের সঙ্গে তার প্রতিযোগিতাও কম নয়। সেই প্রসঙ্গে এদিন মহালিঙ্গম বলেন, আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়ে সবাই সচেতন। তাই মিউচুয়াল ফান্ড যাতে নিরাপদ থাকে, তা দেখতে হবে। তবে বিভিন্ন দেশ মিউচুয়াল ফান্ডকে যেভাবে পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট বা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে, ভারতবর্ষে তা করার জন্য তাঁরা এখন অনুমতি দেবেন না বলেই জানিয়েছেন ওই সেবি কর্তা।