বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
নতুন নিয়মে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর নেই, ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ৫ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার ১০ শতাংশ। তারপর থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ১৫ শতাংশ। ১২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং তার উপর ৩০ শতাংশ হারে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে করদাতাকে। তাঁরা সঞ্চয়, বিমা বা পিএফের মতো ক্ষেত্রগুলি থেকে যদি করছাড়ের কোনও সুবিধা না নেন, তবেই তাঁরা নতুন নিয়মে আসতে পারবেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ফাঁপরে পড়েছেন সাধারণ করদাতারা। কোন পদ্ধতি তাঁদের পক্ষে সুবিধাজনক, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয় অনেকেরই। তার সুরাহা করতে ‘ট্যাক্স ক্যালকুলেটর’ পরিষেবা চালু করে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস।
যে ফিনান্স বিলটি সংসদে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে, সেখানে বলা হয়েছে, ব্যবসা থেকে আয় যাঁদের, তাঁরা ইচ্ছা করলেই যে কোনও একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না। যে পদ্ধতিটি তাঁরা ব্যবহার করবেন, পরবর্তীকালে সেই পদ্ধতিতেই তাঁদের আয়কর জমা করতে হবে। সহজ কথায়, চাকরিজীবীরা যে কোনও আর্থিক বছরে তাঁদের ইচ্ছা মতো যে কোনও একটি নিয়মে আয়কর জমা করতে পারেন। ফিনান্স বিলে সেই সংস্থান রাখা আছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা করতে পারবেন না। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যক্ষ কর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান অরবিন্দ আগরওয়াল বলেন, যেহেতু ব্যবসা থেকে আয় এবং পেশাদারদের আয় আয়কর আইনের চোখে একই ক্যাটিগরিতে থাকে, তাই যে নিয়ম ব্যবসায়ীদের জন্য খাটবে, তা পেশাদারদের জন্যও প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তবে ওই বণিকসভার ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্স সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্র বলেন, যদি কোনও ব্যবসা থেকে কোনও ডিরেক্টর মাসিক বেতন পান, তাহলে কিন্তু তা বেতন হিসেবেই গণ্য হবে। সেটা ব্যবসা থেকে আয় হিসেবে দেখলে চলবে না। পাশাপাশি, ব্যবসার বহর যতই ছোট হোক না কেন, তার থেকে আয় বিজনেস ইনকাম হিসেবেই গণ্য হবে।
অনেকেই আছেন, যাঁরা কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে নিয়মিত বেতন পান। আবার তাঁরা অন্যত্র কখনও কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের কোন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু কনসালট্যান্সির সঙ্গে ওই ব্যক্তি যুক্ত, তাই তাঁর ক্ষেত্রে একবারই আয়করের ‘অপশন’ ঠিক করার সুযোগ থাকবে। কারণ, ফিনান্স বিল বলছে, ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হলেই তাঁর ক্ষেত্রে করের নিয়ম বাছাইয়ের স্বাধীনতা সীমিত। এক্ষেত্রে কনসালট্যান্সির পেশাকে ‘বিজনেস’ হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে।