ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
গত বুধবার নিজেদের দপ্তরে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জেরে ডিজেলের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার উপরে থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্স বেড়েছে। এই দুই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আগামী ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাবেন মালিকরা। সেই কর্মসূচিতে জয়েন্ট কাউন্সিলের সদস্যরা ছাড়াও, ইন্ট্রা ও ইন্টার রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন, লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসিয়েশন সহ অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেবেন। বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি, প্রথম দুই কিমি’র ভাড়া সাত টাকার বদলে ন’টাকা করতে হবে। জেলায় প্রথম দুই কিমি’র ভাড়া ন’টাকা এবং তার পরের প্রতি কিলোমিটারে ৮০ পয়সা হিসেবে ভাড়া ধার্য করতে হবে। বর্তমান ভাড়ায় বাসের পরিষেবা দিতে কালঘাম ছুটছে মালিকদের।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি জরুরি। জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে অন্যান্য খরচও বেড়েছে। ফলে পরিষেবার মান বজায় রাখতে হলে ভাড়া বাড়ানো দরকার। আমাদের দাবি, খরচের হিসেব কষে ভাড়ার তালিকা করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। এই দাবিতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। বিষয়টি ফের রাজ্য প্রশাসনের নজরে আনা হবে।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, শহর ও শহরতলির বাসের ভাড়ার স্টেজ জেলার বাসের মতো করতে হবে। কারণ, বর্তমানে শহর-শহরতলির বাসে তেমন আয় হচ্ছে না। যাত্রীও কম হচ্ছে। এই দাবিতে গত ২০ জানুয়ারি পরিবহণ দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আমাদের দাবি বিবেচনা করা হবে।