বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ঘাড়ের উপর ঝুলছে ৫৮ হাজার কোটি টাকার দেনার বোঝা। এই ভার আর বইতে চাইছে না মোদি সরকার। ফলে চলতি অর্থবর্ষের শেষে অর্থাৎ মার্চ মাসের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যেতে পারে ‘মহারাজা’। সেইসঙ্গে বেচে দেওয়া হবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসিএলকেও। টালমাটাল অর্থনীতি সামাল দিতে সেই টাকা কোষাগারে ঢোকাতে চাইছে কেন্দ্র। সর্বভারতীয় এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সীতারামন। গত কয়েক বছর ধরেই এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রির চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি বিমানসংস্থার কর্মীদের একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। সেখানে বেসরকারি হাতে গেলে এয়ার ইন্ডিয়া বাঁচবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
এবার, রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সংস্থাকে বেচতে যে সরকারের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রমাণ মিলল সীতারামনের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই আশা নিয়ে এগচ্ছি যে চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে দুটোই যেন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। আসল ঘটনা ক্রমে স্পষ্ট হবে।’ আর তার পরেই মনে করা হচ্ছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারত পেট্রলিয়াম। পাশাপাশি, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমানসংস্থাকে কেনার ব্যাপারে বহু ক্রেতার আগ্রহ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
গত বছরেই ১০০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল মোদি সরকার। সেইসঙ্গে সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিয়ন্ত্রণও ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, একটা ক্রেতাও জোটেনি। সেজন্য পরবর্তী সময়ে সংস্থার শেয়ার টুকরো টুকরো করে বিক্রি করারও চেষ্টা হয়। তাতে মেলেনি কোনও ক্রেতা। আর তাই সম্প্রতি বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ায় বদল এনেছে মোদি সরকার। যেখানে কেনার জন্য দর-দাম হাঁকার আগে সম্ভাব্য ক্রেতাদের বিষয়ে জানা হবে। যাতে তাদের যাবতীয় উদ্বেগ নিরসন করা যায়। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসান হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
গত বছর এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি না হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল নিজেদের হাতে রেখে দেওয়া সরকারের ২৪ শতাংশ শেয়ার। এর মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে সরকার। কিন্তু, এবার আর সেই বাধা থাকছে না। কারণ, এবার পুরোটাই বিক্রি করে দিতে চাইছে মোদি সরকার। অন্যদিকে, ভারত পেট্রলিয়ামের সরকারের হাতে থাকা ৫৩.২৯ শতাংশ শেয়ারই বিক্রি করে দিতে চায় সচিবগোষ্ঠী। বর্তমানে বিপিসিএলের বাজারমূল্য ১.০৪ লক্ষ কোটি টাকা। ৫৩.২৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে ৬৫ হাজার কোটি টাকা ভরতে চায় কেন্দ্র।