বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত শহরে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের জেলা কার্যালয় রয়েছে। দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার প্রণবকুমার নস্কর দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। গত ২১ অক্টোবর থেকে তিনি ছুটি নিয়েছেন। গত ২২ তারিখ তাঁর দুটি হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে। আগামী ২৩ডিসেম্বর তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তখনও তিনি পুরো ফিট হতে পারবেন কি না তানিয়ে বিভিন্ন মহলেই সংশয় রয়েছে। বর্তমানে অফিসের ম্যানেজার সুবীর চট্টোপাধ্যায় অস্থায়ী জিএম হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু সুবীরবাবুর হাতে স্বাধীন জেনারেল ম্যানেজারের মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। সেকারণে লোন স্যাংশন সহ যে কোনও আর্থিক বিষয়ে সুবীরবাবু স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। আর্থিক বিষয়ের যে কোনও ফাইল সই করাতে অফিস কর্মীদের সেই অসুস্থ প্রণববাবুর সোনারপুরের বাড়িতে দৌড়তে হচ্ছে। বহু ফাইল দিনের পর দিন অফিসে জমে থাকছে। এমনকী অফিসের কন্টিজেন্সি সংক্রান্ত ফাইলও আটকে রয়েছে। সবমিলিয়ে জিএম ছুটিতে থাকায় সমস্ত ধরনের কাজেই ঢিলেমি এসেছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। বসিরহাট থেকে লোন স্যাংশন সংক্রান্ত বিষয়ে অফিসে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি একটি প্রোজেক্টের লোনের বিষয়ে এসেছিলাম। সমস্ত কিছু শুনে অফিসের আধিকারিকরা পরে আসতে বলেছেন। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এখন জিএম অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। নতুন বছরের প্রথমে এলে কাজ হতে পারে। জিএম থাকলে এই সমস্যা হতো না। চেম্বার অফ কমার্সের হাবড়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জনচন্দ্র সাহা বলেন, জিএম ছুটিতে থাকার ফলে বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে। যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা জিএমের মতো স্বাধীন মতামত দেওয়ার কিংবা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। উত্তর ২৪পরগনার মতো জেলায় কুটির শিল্প দপ্তরে সর্বক্ষণের জিএম প্রয়োজন। ফেডারেশন ওফ অ্যাসোসিয়শন অব স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ওই ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব ঘোষ বলেন, কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে জিএম ছুটিতে থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। জিএম প্রণব নস্কর বলেন, হাঁটুতে অপারেশনের কারণে আমি বাড়িতে থাকলেও ফোন সব সময় খোলা রয়েছে। সকলের ফোন ধরে কথাও বলছি। যেকোনও ফাইল বাড়িতে বসেই সই করছি। ফলে বড় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাসত্ত্বেও কারও সমস্যা হলে সরাসরি আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।