দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
কোচ হোসে মোলিনা অবশ্য আবেগে গা ভাসাতে নারাজ। লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপ জিততেও বদ্ধপরিকর তিনি। তাই তাঁর যাবতীয় ফোকাস শনিবারের মুম্বই সিটি ম্যাচে। প্রথম লেগে পিটার ক্র্যাটকির দলের বিরুদ্ধে জয় হাতছাড়া হয়েছিল। তাই এবার তিনি সতর্ক। বৃহস্পতিবারের অনুশীলেন যা ইঙ্গিত, তাতে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পরিকল্পনা করছেন স্প্যানিশ কোচ। গত কয়েক মরশুমে মুম্বই সিটির মাঝমাঠের স্তম্ভ আপুইয়া ও গ্রেগ স্টুয়ার্টকে দিয়ে বাজিমাতের আশায় তিনি। এদিন অনুশীলনে জেমি ম্যাকলারেনের নীচে উইথড্রন স্ট্রাইকারে স্কটিশ তারকাকে রেখে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস সারলেন। গত ম্যাচের নায়ক পেত্রাতোসকে বোধহয় সুপার-সাব হিসেবে ব্যবহার করবেন। তবে টানা সূচির জেরে প্রথম একাদশের কয়েকজন ফুটবলারকে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে মোলিনার। এদিন রক্ষণে আলবার্তোর পরিবর্তে টম আলড্রেডের সঙ্গে দীপ্যেন্দুকে এবং রাইট ব্যাকে সৌরভ ভানুয়ালাকেও ঝালিয়ে নিতে দেখা গেল। তবে মাঝমাঠে মোলিনার তুরুপের তাস হতে পারেন আপুইয়া। কারণ, মুম্বই দলের খুঁটিনাটি জানা এই মিজো মিডিওর। তা নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে চাইবেন মোলিনা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনেও কোচের সঙ্গে এসেছিলেন আপুইয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘লিগ-শিল্ড নিশ্চিত হলেও কাজ এখনও শেষ হয়নি। আইএসএল কাপ জেতার ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী আমরা।’ অতীতে মুম্বইয়ের জার্সিতেও লিগ-শিল্ড জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে স্পেশাল কোনটা? এমন প্রশ্নে আপুইয়ার হাসিমুখে জবাব, ‘সত্যি বলতে মুম্বইয়ে লিগ-শিল্ড জয়টাকেই এগিয়ে রাখব। কারণ, সেবার আমার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। যেখানে নেইমার, রোনাল্ডোদের মতো ফুটবলাররা খেলে। এখন তো এসিএল-টু’তে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া যায়।’
এদিকে, মোলিনাও কোচ হিসেবে মোহন বাগানে সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন। তাঁর কথায়, ‘প্রথমত দলের ফুটবলারদের মান অত্যন্ত ভালো। আমার প্রধান কাজ ছিল ড্রেসিং-রুমের পরিবেশ চনমনে রাখা। জানি, প্রত্যেক প্লেয়ারকে আমি খুশি করতে পারব না। টিমে এগারো জনের বেশি রাখতে পারব না। কিন্তু টিমের স্বার্থে প্রত্যেকে একাত্ম হয়ে লড়ছে।’ পাশাপাশি বিশাল কাইথকেও প্রশংসায় ভরালেন মোলিনা। তাঁর মন্তব্য, ‘বিশালের বড় গুণ, ও ভুল কম করে। তাই ওকে বেঞ্চে রাখার প্রয়োজন অনুভব করিনি।’