বেঙ্গালুরু: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভারতের মতো এমন ক্রিকেট প্রতিভাধর দেশ কম দেখেছি। ওরা চাইলে বিশ্বকাপের জন্য দুটো দল গড়তে পারে।’ বোথামের কথা উড়িয়ে দেওয়ার নয়। তিনি যেন আসল সত্যটাই তুলে ধরেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বড় কোনও টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে বেশকিছু নামী ক্রিকেটার সুযোগ পান না। কারণ, প্রতিটি বিভাগেই থাকে কঠিন লড়াই। বিকল্পও অনেক বেশি। সেই কারণে কালের নিয়মে ভারতীয় ক্রিকেট হয়ে উঠেছে প্রবল শক্তিধর। কখনও তারকাদের অনুপস্থিতি সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। এবার বোথামের সুরেই কথা বলতে শোনা গেল রাহুল দ্রাবিড়কে। কয়েকদিন আগেই তাঁর কোচিংয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। দল গড়তে তাঁকেও বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল। তবে তিনি খুশি দুর্দান্ত সাপ্লাই লাইন দেখে। দ্রবিড়ের কথায়, ‘ভারতীয় ক্রিকেট খুবই শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়মিত প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসছে। জিআর বিশ্বনাথ কিংবা আমাদের সময় মূলত বড় শহর থেকেই ক্রিকেটাররা উঠে আসত। এখন ছোট শহরের প্রতিভাবান ক্রিকেটাররাও জাতীয় দলে জায়গা করে নিচ্ছে। ফলে এখন সাপ্লাই লাইন অত্যন্ত মজবুত। কখনও পরিবর্ত খেলোয়াড় নিয়ে ভাবতে হয় না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে সেটা বলতে পারি।’
একই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটেরও ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে দ্রাবিড়ের কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, ‘রনজি ট্রফির মান খুবই উন্নত। অতীতে দক্ষিণ ভারতের দলগুলি বড়তি গুরুত্ব পেত। তার মানে এই নয় যে আমি অন্যদের খাটো করছি। কিন্তু দক্ষিণের খেলেয়োড়দের নিয়ে আলাদা চিন্তাভাবনা ছিল ক্রিকেট মহলের। ধারণা ছিল, যে কোনও পরিস্থিতিতে ওরা ম্যাচ জিততে পারে। এর পিছনে ক্লাবগুলির বড় ভূমিকা যে ছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এখন অবশ্য ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ক্রিকেটের আধুনিক সুযোগ সুবিধা পৌঁছেছে। ফলে প্রতিভার ছাড়াছড়ি চারিদিকে। তাতে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট।’