আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
অতীতে ব্রাজিল ফুটবল মানেই জোগো বোনিতো অর্থাৎ সৃজনশীল ফুটবল। পেলে, গ্যারিঞ্চা, জিকো, সক্রেটিস, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহোদের চোখ জুড়নো ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকত বিশ্ব। কিন্তু কালের নিয়মে সেই গরিমা হারিয়েছে। ডোরিভাল জুনিয়রের দল এখন কোনওক্রমে উতরে যাওয়ার জন্যই মাঠে নামে। শনিবারও ভিনিসিয়াস জুনিয়রদের খেলায় মন ভরেনি অনুরাগীদের। তবে রডরিগোর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের গোলে মূল্যবান পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাম্বার দেশ।
বাছাই পর্বে শেষ তিন ম্যাচে যথাক্রমে আর্জেন্তিনা, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের কাছে হার মানে ব্রাজিল। টানা তিন ম্যাচে হারের ধাক্কা কোপা আমেরিকাতেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেলেকাওরা। কোয়ার্টার-ফাইনালে টাই-ব্রেকারে বশ মানেন ডোরিভাল-ব্রিগেড। এদিন ইকুয়েডরের বিরুদ্ধেও শুরুর দিকে আত্মবিশ্বাসের অভাব চোখে পড়ছিল। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইকুয়েডরের মোইসেস কেইসেদোর শট ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল গোললাইন সেভ না করলে ফল অন্যরকম হতেই পারত। যাই হোক, এসব খেলারই অঙ্গ। তার আগেই ব্রাজিলকে লিড এনে দিয়েছিলেন রডরিগো। ৩০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে জাল কাঁপান রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন তরুণ ফুটবলার (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডরের সমতা ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে, প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে শনিবার লুইস সুয়ারেজকে পুরো সময় মাঠে রেখেছিলেন উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। তবে স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ তিনি। ম্যাচের পর অনুরাগীদের ভালোবাসায় আপ্লুত সুয়ারেজ। তারকা স্ট্রাইকারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে বড় চমক ছিল লায়োনেল মেসির বার্তা। রেকর্ড করা ভিডিওতে স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় আর্জেন্তাইন মহাতারকাকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। জাতীয় দল ও দেশকে অনেক কিছু দিয়েছ। তারজন্য তোমার পরিবার, অনুরাগীরা গর্বিত। দেশের জন্য সর্বদাই সেরাটা উজাড় করেছ তুমি। জানি, অবসরের সিদ্ধান্তটা কতটা কঠিন ছিল তোমার জন্য। তবে মুহূর্তটা উপভোগ কর।’ বন্ধুর বার্তা পেয়ে তখন চোখের জলে ভাসছিলেন সুয়ারেজ। বিদায়ী বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার কাছে সৌভাগ্যের। খেলা ছাড়লেও দর্শকাসনে বসে সবসময় জাতীয় দলের হয়ে গলা ফাটাব।’