সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
দেশের জার্সিতে টানা ১৯ বছর খেলা সহজ কথা নয়। কঠিন শৃঙ্খলাপরায়ণ বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমার উপলব্ধি, কোনও কিছু পাওয়ার জন্য ত্যাগ অত্যন্ত জরুরি। ভারতের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছি প্রায় বছর পনেরো। এরজন্য অনেক কিছুই আমায় ছাড়তে হয়েছে। সুনীলও একই পথের পথিক। জেসিটিতে ও যখন যোগ দেয়, তখন কত আর বয়স হবে। খুব বেশি হলে ২০ বছর। তখনই সুনীলের মধ্যে সফল হওয়ার অদম্য জেদ দেখেছিলাম। কখনও ওকে বিশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে দেখিনি। অনুশীলন আর জিমেই অধিকাংশ সময় কাটাত সুনীল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটা ঘটনা মনে পড়ছে। একবার আমি কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে ফাগোয়ারা যাচ্ছিলাম। সুনীল ফোন করে বলে, দিল্লিতে ওর বাবার হাত থেকে একটি পার্সেল এনে দিতে। আমি তা ওকে পৌঁছে দিই। পরে জানতে পারি, তাতে ছিল প্রোটিন পাউডার। বলে রাখা দরকার, তখন ভারতে এসবের খুব একটা চল ছিল না। তবে সেই সময়ও সুনীল ব্যক্তিগত উদ্যোগে শারীরিক গঠনের উপর জোর দিত। তাই আজ এই বয়সেও যে কোনও তরুণ ফুটবলারকে ও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। জানি, সবাইকে একদিন থামতে হয়। আমার ধারণা, সঠিক সময়েই সুনীল অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজনের ছেড়ে যাওয়া জায়গা সহজে পূরণ হয় না। তবে আশা করছি, সুনীলের বিকল্প আমরা ঠিক খুঁজে পাব। তার জন্য কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে।