সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
ফিল সল্টের অনুপস্থিতি কতটা প্রভাব ফেলবে প্লে-অফে, তা নিয়ে উদ্বেগে ছিল সোনালি-বেগুনি শিবির। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ পাওয়া গুরবাজ (২৩) বেশিক্ষণ না টিকলেও আক্রমণাত্মক মেজাজে ইনিংসের টোন বেঁধে দিয়েছেন। গুরবাজের ২৩ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪৪। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৬৩-১। সুনীল নারিন (২১) ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন বেঙ্কটেশ আয়ার (২৮ বলে ৫১) ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (২৪ বলে ৫৮)। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দু’জনে ৪৪ বলে ৯৭ রান যোগ করে জিতিয়ে ফিরলেন।
চলতি আসরে বিধ্বংসী ওপেনিং জুটিই সানরাইজার্সের মূল শক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং অধিকাংশ ম্যাচে গড়ে দিয়েছে জয়ের ভিত। উভয়ের স্ট্রাইক রেটই দুশোর উপর। অথচ এদিন দু’জনের মিলিত অবদান মাত্র ৩!
একদা তুমুল সমালোচিত মিচেল স্টার্কই তফাত গড়ে দিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই দুরন্ত স্যুইংয়ে বাঁ হাতি পেসার ছিটকে দেন ট্রাভিস হেডের স্টাম্প। বোর্ডে তখনও কোনও রান যোগ হয়নি। পরের ওভারে বৈভব অরোরার বলে ফিরলেন অভিষেক শর্মা (৩)। পাঁচ ওভারের শেষে স্কোর দাঁড়াল ৩৯-৪। সূর্যোদয় নয়, হায়দরাবাদের ইনিংসে তখন সূর্যাস্তের দশা। ওই স্পেলের তৃতীয় ওভারে পরপর দু’বলে স্টার্ক ফেরান নীতীশ রেড্ডি (৯) ও শাহবাজ আহমেদকে (০)। মারতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ তোলেন নীতীশ। আর ক্রস-সিম ডেলিভারি ব্যাটে লাগিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন শাহবাজ।
ধুঁকতে থাকা ইনিংসকে মেরামতের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর দেখাচ্ছিল রাহুল ত্রিপাঠি ও হেনরিখ ক্লাসেনকে। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ৩৭ বলে যোগ করেন ৬২। দশম ওভারের শেষে স্কোর ৯২-৪। মনে হচ্ছিল, দুশো রানের চ্যালেঞ্জই কলকাতাকে ছুড়ে দিতে চলেছে নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ক্লাসেন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। নারিনের পরপর দু’বলে ছক্কা ও চার মারেন তিনি। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তীকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্লাসেন (৩২) ধরা পড়তেই ফের নামে ধস। ১০১-৫ থেকে ১২৬-৯ হয়ে যায় ইনিংস। আব্দুল সামাদের (১৬) সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন রাহুল ত্রিপাঠি। প্রাক্তন নাইটের ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছয়ে। এভাবে আউট অবশ্য মানতে পারেননি রাহুল। ড্রেসিং-রুমে ওঠার সিঁড়িতেই বসে পড়েন তিনি। ব্যাট জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। রাহুলের হতাশার ছবি হয়ে ওঠে প্রতীকী। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সনবীর সিং প্রথম বলেই বোল্ড। খাতা খোলেননি ভুবনেশ্বর কুমারও। মনে হচ্ছিল, কয়েক ওভার বাকি থাকতেই দাঁড়ি পড়বে ইনিংসে।
সেখান থেকে সানরাইজার্স ইনিংসকে দেড়শোর উপর নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে অধিনায়ক প্যাট ক্যামিন্স। ২৪ বলে তাঁর সংগ্রহ ৩০। শেষ উইকেটে ভি বিয়াসকান্তকে নিয়ে অমূল্য ৩৩ রান যোগ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে থামে হায়দরাবাদ।