সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
রবিবার উপ্পলে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সানরাইজার্স। একই দিনে গুয়াহাটিতে কলকাতার সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ায় প্রথম দুয়ে থাকা নিশ্চিত হয়েছে তাদের। চলতি আসরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দক্ষিণের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। শুরুতে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা ঝড় তুলছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। দুশো রান তো বটেই, বেশ কয়েকবার আড়াইশোর গণ্ডিও হেলায় টপকে গিয়েছে তারা। তবে প্রথমে ব্যাটিং করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ প্যাট কামিন্সের দল। সদ্য ঘরের মাঠে পাঞ্জাবকে হারালেও রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তেমন ধারাবাহিক নয় সানরাইজার্স। কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর তাই বোর্ডে বড় রান তুলে বিপক্ষকে চাপে ফেলার পরিকল্পনায় জোর দিতেই পারেন।
কলকাতার সমস্যা আবার অন্য। ওপেনিংয়ে ফিল সল্টের অনুপস্থিতি সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এই আসরে নাইটদের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী তিনিই। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য সল্ট ফিরে যাওয়ায় সুনীল নারিনের যোগ্য পার্টনার বাছাই করাই এখন প্রধান কাজ। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া রবিবারের ম্যাচে অবশ্য ওপেনার হিসেবে প্রথম এগারোয় রাখা হয়েছিল রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। যদিও তিনি নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি। কারণ বৃষ্টিতে এক বলও খেলা হয়নি। গুরবাজের ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব তাই চিন্তায় রাখছে। নাইট সমর্থকদের উদ্বেগের আর একটা কারণও রয়েছে। ১১ মে শেষবার বাইশ গজে নেমেছিলেন শ্রেয়সরা। পরের দুই ম্যাচই পণ্ড হয়েছে ঝড়-বৃষ্টিতে। এই দীর্ঘ বিরতিতে ছন্দ নষ্ট হবে না তো, উঁকি দিচ্ছে আশঙ্কা।
সোমবার সন্ধায় গুয়াহাটি থেকে আমেদাবাদে পৌঁছন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনরা। ফলে কোয়ালিফায়ারের প্রস্তুতির জন্য সময়ই মেলেনি। এটাও চিন্তায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে ব্যাটিং-বোলিং, উভয় বিভাগেই রীতিমতো গভীরতা রয়েছে কলকাতার। বেঙ্কটেশ আয়ার, নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিং, রমনদীপ সিং ও রাসেলের উপস্থিতিতে পাওয়ার হিটারের কমতি নেই। তবে অধিনায়ক শ্রেয়স কিছুটা ম্রিয়মাণ। কেকেআরের পেস আক্রমণ নির্ভর করছে ছন্দে ফেরা মিচেল স্টার্কের উপর। হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, রাসেলরাও উইকেট নিচ্ছেন। নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী, দুই মিস্ট্রি স্পিনারই মাঝপর্বে চাপে রাখছেন বিপক্ষ ব্যাটারদের।
কলকাতার মতো হায়দরাবাদের ব্যাটিংও শক্তিশালী। হেড, অভিষেক ছাড়াও রয়েছেন নীতীশ রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন, শাহবাজ আহমেদ, আব্দুল সামাদ, সনবীর সিংরা। চোট সারিয়ে ফেরা রাহুল ত্রিপাঠীকেও আগের মতোই স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে তিন নম্বরে। ফলে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে সম্ভবত বাইরেই বসতে হবে। অধিনায়ক কামিন্সের সঙ্গে ভুবনেশ্বর কুমার, নটরাজন, নীতীশরা রয়েছেন পেস বোলিংয়ের দায়িত্বে। শ্রীলঙ্কার লেগস্পিনার বিজয়কান্ত বিয়াসকান্তকে শেষ দুই ম্যাচে খেলিয়েছে তারা। সঙ্গে বাঁ হাতি স্পিনার শাহবাজ। অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের ঠিকানা তাই ফের ডাগ আউটেই হতে চলেছে।
এবারের মরশুমে অভিযানের শুরুতেই মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। ইডেনে ওই ম্যাচে ৪ রানে জেতে কলকাতা। দ্বৈরথের আগে সেই তথ্য নিশ্চিতভাবে মনোবল বাড়াচ্ছে শ্রেয়সদের। হারলেও ফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় সুযোগ মিলবে। তাই আগ্রাসী ক্রিকেটের পতাকা ওড়াতে অসুবিধা নেই কোনও পক্ষের। সেজে ওঠা মোতেরা তাই জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায়।