কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
১৯ বছরের ম্যারাথন কেরিয়ার। বিদায় বেলায় স্মৃতিমেদুর সুনীল। ২০১৫ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় ভারত। দুঃসহ যন্ত্রণা এখনও তাঁকে কুরে কুরে খায়। কেরিয়ারের গোধূলিতে সেই আক্ষেপ সুদে-আসলে পুষিয়ে নিতে তৈরি তিনি। সুনীলের মন্তব্য, ‘যুবভারতীতে কুয়েতকে হারাতে হবে। অনুরাগীদের মুখে হাসি ফোটাতেই হবে।’ স্পষ্ট ইঙ্গিত, অবসরের আবেগ দূরে সরিয়ে তাঁর ফোকাসে শুধুই কুয়েত ম্যাচ। ফুটবলের মক্কা তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে। সমর্থকদের মনের খবর তাঁর ঠোঁটস্থ। ফেয়ারওয়েল ম্যাচের আগে তিলোত্তমার দর্শকদের তাঁর কুর্নিশ। বাংলার জামাই বাংলাতেই বললেন, ‘কলকাতায় শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব। এর চেয়ে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে? ওদের পালস আমি বুঝি। কুয়েত ম্যাচে নিশ্চয়ই উপচে পড়বে গ্যালারি।’ অবসরের পর কয়েকদিন বিশ্রাম। তারপর বেঙ্গালুরু এফসি’র শিবিরে যোগ দেবেন সুনীল।
আইএম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়ার পর সুনীল ছেত্রীই ভারতীয় ফুটবলের সেরা বিজ্ঞাপন। আর একটা মাত্র ম্যাচ। রাজার তাজ খুলে রাখবেন চকোলেট বয়। তারপর কে সামলাবেন রাজ্যপাট? সুনীল আশাবাদী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে। লিস্টন, মনবীর, ছাংতে, সাহাল আব্দুল সামাদের উপর বাজি ধরতে পিছপা নন তিনি। যে কেউ হতে পারেন নম্বর নাইন। জুনিয়রদের জন্য তাঁর বার্তা, ‘টিঁকে থাকতে গেলে গোল করতে হবে।’ প্রায় দু’শকের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তা বারবার প্রমাণ করেছেন ভারতীয় ফুটবল আইকন। চ্যাম্পিয়নরা এমনটাই হন। সুনীল থেকে বিরাট, সাফল্যের একটাই মন্ত্র, প্র্যাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট।