ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
বয়স যাই হোক না কেন, ভিতরের আগুনটা একইরকম রয়ে গিয়েছে ল্যান্স ক্লুজনারের। ত্রিপুরার কোচিং কনসালটেন্ট হিসেবে বছরে একশো দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার নেপথ্যেও থাকছে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার তাগিদ। ক্লুজনারের ক্রিকেট কেরিয়ারে গঙ্গাপারের এই শহরের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে ইডেনেই টেস্ট অভিষেক। বল হাতে শুরুতেই আজহারউদ্দিনের কাছে বেধড়ক ঠ্যাঙানি। তার মধ্যে এক ওভারে অনসাইডে পাঁচটি চারও। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য বিধ্বংসী ‘জুলু’ই আট উইকেট নিয়ে ভাঙেন ভারতীয় ইনিংস। আজহারের ইনিংস যদিও তাঁর কাছে এখনও মুগ্ধতা। ‘বর্তমান’কে বললেন, ‘আজহার ছিল স্পেশ্যাল স্পেশ্যাল প্লেয়ার। ওর কব্জির নমনীয়তা ছিল অবিশ্বাস্য।’
এই সময়ের সেরা তিন অলরাউন্ডার কারা? ক্লুজনারের বাছাই হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা ও বেন স্টোকস। যুক্তি, ‘কাজ-চালানো অলরাউন্ডাররা এখন চাপে পড়ে যাচ্ছে। তবে ভিতরে মশলা থাকলে ঠিকই দাপিয়ে রাজত্ব করা যায়। স্টোকস, হার্দিক, জাদেজারা সোনার মতোই দামি।’ আর এজন্যই বোধগম্য হচ্ছে না হার্দিকের পাঁচদিনের ফরম্যাট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত।
সামনেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক বনাম রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারাদের টক্করই চ্যাম্পিয়ন ঠিক করবে বলে রায় ক্লুজনারের। অজি বোলিং বনাম ভারতীয় ব্যাটিং— ওভালের লড়াইকে এভাবেই দেখছেন প্রোটিয়া।
একদা কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ক্লুজনার। ছিলেন বিপক্ষের বুকে ত্রাস সৃষ্টিকারী ‘ফিনিশার’। সেই ঐতিহ্য পরবর্তী সময়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি, মাইকেল বিভান এবং হালফিল রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যে চোখে পড়েছে। তাঁর মতে, ‘এক-আধটা ম্যাচ চাপের মুখে জেতালে চলবে না। নিয়মিত জিতিয়ে ফেরা চাই। রিঙ্কুকে সেজন্যই ভালো লেগেছে। ওর মতো ক্রিকেটারই কিন্তু মাঠে লোকে টেনে আনে।’
বল হাতে উল্টোদিকে কাকে দেখলে মনের কোণে জন্ম নিত সংশয়? ক্লুজনারের উত্তর, ‘নিজের দিনে ব্রায়ান লারা, স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিং, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলিরা প্রত্যেকেই সেরা। তবে শচীন আর স্টিভ প্রচণ্ড ধারাবাহিক। ওদের আউট করলে বাড়তি তৃপ্তি পেতাম।’
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালের পরাজয় এখনও রক্তপাত ঘটায় হৃদয়ে। অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে ব্যর্থতাকে আমল না দেওয়াই এগিয়ে চলার রেসিপি। কোচ হিসেবে সেই মন্ত্র শেখানোই ক্লুজনারের অ্যাসিড টেস্ট।