অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
পর পর দু’টি ম্যাচে ক্যাঙারু বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হওয়ার পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল কোহলি ব্রিগেড। বুধবার তৃতীয় তথা অন্তিম ম্যাচে ১৩ রানের কষ্টার্জিত জয় টিম ইন্ডিয়াকে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাবে টি-২০ সিরিজের আগে।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৩ রানের টার্গেট রেখেও স্বস্তিতে ছিলেন না বিরাট কোহলিরা। ডেভিড ওয়ার্নার চোটের কারণে খেলেননি। বড় রান করতে ব্যর্থ স্টিভ স্মিথ। তা সত্ত্বেও একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ছিল ক্যাঙারু বাহিনীর হাতে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো ব্যাটিং কোহলির মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছিল। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যালেক্স কেরির সঙ্গে অনবদ্য ৫২ রান যোগ করেন তিনি। কেরি রান আউট হওয়ার পর অ্যাস্টন অ্যাগরকে নিয়ে ৫৮ রান তুলে ভারতকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একটা সময় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৩৬ বলে ৩৯ রান। ঠিক তখনই গতি ও ইয়র্কারে শিকার খুঁজে নিলেন যশপ্রীত বুমরাহ। তাঁর বলে ম্যাক্সওয়েল (৩৮ বলে ৫৯) বোল্ড হতেই অস্ট্রেলিয়ার কাজটা কঠিন হয়ে যায়। এরপর একে একে অ্যাস্টন অ্যাগর (২৮) ও শেন অ্যাবটকে (৪) সাজঘরে ফেরান নটরাজন ও শার্দূল। স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে লেগ বিফোর করে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন বুমরাহই।
ভারতের নতুন পেস লাইন যে তৈরি, সেটা অন্তত শার্দূল, নটরাজনদের খেলায় ধরা পড়েছে। ওপেনার মার্নাস লাবুশানেকে (৭) আউট করে দলকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন নটরাজনই। ২২ রানে স্লিপে অজি অধিনায়কের সহজ ক্যাচ ফেলেন ধাওয়ান। পরে অবশ্য তিনি সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন জাদেজার বলে বাউন্ডারি লাইনে ফিনচের (৭৫) ক্যাচ ধরে। সিরিজের সেরা পুরস্কার পেলেও স্মিথের ব্যাটে সেই ঝাঁঝ এদিন দেখা যায়নি। শার্দূলের লেগ স্টাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন তিনি। একটা সময় অস্ট্রেলিয়া ১৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে দুর্দন্ত লড়াই চালিয়েও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন ম্যাক্সওয়েল।
বিরাট কোহলি ছাড়া ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটিং ফের ব্যর্থ। এদিন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন শুভমান গিল (৩৩)। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানটি। তার আগেই অবশ্য অ্যাবটের বলে ১৬ রানে অ্যাগরের হাতে ধরা পড়েন ধাওয়ান। শ্রেয়াস আয়ারও (১৯) ফের হতাশ করলেন। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লোকেশ রাহুল (৫)। ক্যাপ্টেন কোহলি চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে শুধু পথ দেখাননি, সেই সঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১২ হাজার রানও পূর্ণ করেছেন। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে বিরাটের লেগেছে ২৪২টি ইনিংস। সেই সুবাদে তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকরকে। ১২ হাজার রান পূর্ণ করতে মাস্টার ব্লাস্টারের লেগেছিল ৩০০টি ইনিংস। যাইহোক, ৭৮ বলে ৬৩ রান করে হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। ১৫২ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা জুটি। অন্তিম পাঁচ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিং করে ৭৬ রান যোগ করেন তাঁরা। তিনশোর গণ্ডি টপকে যায় টিম ইন্ডিয়ার স্কোরও। হার্দিক ৯২ ও জাদেজা ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হার্দিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ৩০২/৫ (হার্দিক অপরাজিত ৯২, জাদেজা অপরাজিত ৬৬, কোহলি ৬২, অ্যাগর ৪৪/২) অস্ট্রেলিয়া ২৮৯ (ফিনচ ৭৫, ম্যাক্সওয়েল ৫৯, শার্দুল ৫১/৩, বুমরাহ ৪৩/২, নটরাজন ৭০/২)।
ভারত জয়ী ১৩ রানে
ম্যাচের সেরা- হার্দিক পান্ডিয়া।